পঞ্চগড়ে লিচুর গাছ মুকুলে ভরে গেছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৪

পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমে লিচুগাছে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। এবারের লিচুগাছের মুখর ও তাক লাগানো মুকুলের দিকে তাকালে মনে করা যেতেই পারে যে এবার চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন  হবে।  লিচুগাছের মুকুলের ঘ্রাণে মেতে উঠেছে মৌমাছির গুঞ্জন ।

এবারে গাছের এত মুকুল দেখে বাগানমালিকরা খুশি। তারা আশা করছে লিচুর ফলনে বাগানমালিকরা লাভবান হবে। এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোনো ধরনের সমস্যা মুকুলের ওপর কোনো খারাব প্রভাব ফেলেনি। সামনের দিনগুলোয় যতি প্রকৃতি সহায় থাকে তাহলে  লিচুর বাম্পার ফলনের পাশাপশি ভালো মুনাফা করতে পারবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠরা। লিচু রসালো ফল। সব বয়সের জন্য এ পুষ্ঠিকর ফল খুবই প্রিয়।

লিচুবাগান মালিক আক্তার মাস্টার জানান, তার ৬ বিঘা জমিতে রয়েছে লিচুবাগান। গাছ রয়েছে ২০০টি। গত বছর সব গাছে লিচু ধরেনি, তাতেও দেড় লাখ টাকার লিচু বিক্রি করেছে। এবারে তার সব গাছে ধরেছে মুকুল, লিচু বিক্রি করা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তিনি এবার ৩-৪ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। একই ধরনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন অপর লিচু বাগানমালিক আব্দুল মালেক। তারও রয়েছে ১২ বিঘা জমিতে লিচু ও আমবাগান।
  
জেলা কৃষি বিভাগের জরিপসূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে দুই হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। লিচুগাছের সংখ্যা দুই লাখ। এর মধ্যে দেড় লাখ লিচুগাছের বয়স ১৫ বছরের বেশি। এ ছাড়া জেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের বসতবাড়ি এবং আশপাশে রয়েছে বিপুলসংখ্যক লিচুগাছ। 

লিচু চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই পঞ্চগড়ে বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হেক্টর প্রতি লিচুর ফলন ৫২৫ টন ধরা হয়েছে। জেলায় ৫ জাতের লিচু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী জাত, চায়না ২,৩,৪ এবং বোম্বে। চায়না ২,৩,৪ বাজারে চাহিদা ভাল থাকে। গত বছর চায়না ৩ জাতের লিচুর শ, ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপরিচালক নাইমুল হুদা  বাসসকে জানান, এ মহূর্তে কৃষকদের লিচুবাগানে সুষম সার প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, পাশাপশি কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও দিচ্ছে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ