আজকের শিরোনাম :

চিরিরবন্দরে ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের গাড়ি ভাংচুর, আটক ৩

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৬

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িতে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে ভেকুসহ ৪টি গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ ঘটনাটি গত ৫ মার্চ মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের পূর্ব সাঁইতাড়া গ্রামে এমএইচবি ইটভাটায় ঘটেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও ভেকু নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিমের ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমির নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের পূর্ব সাঁইতাড়া গ্রামের রাবারড্যামের সন্নিকটে এমএইচবি নামে ইটভাটায় আসে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের
ম্যাজিস্ট্রেট ভাটা মালিক মোকারম হোসেনকে ডেকে নিয়ে তার ভাটা পরিচালনার বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। এসময় তিনি ভাটা পরিচালনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে, ওই ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা প্রদান না করে উল্টো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ভাটা মালিক মোকারম হোসেন ও তাঁর ছোটভাই মোস্তাফিজার রহমান ফিজার।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভেকু দিয়ে ভাটা গুড়িয়ে দেয়ার নিদের্শ প্রদান করেন। এসময় ভাটা মালিক মোকারম হোসেনের নিদের্শে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশের উপর অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকেরা। এতে ম্যাজিস্ট্রেটের বহনকারী গাড়ির সামনের ও পিছনের গ্লাস ও ভেকু ভেঙ্গে দেয় এবং পুলিশ ৬ জন আহত হয়। এসময় ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ভাটায় অবরুদ্ধ করে রাখে শ্রমিকেরা।

এ ঘটনা জানতে পেরে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ কে এম শরীফুল হক ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খানসহ সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরুদ্ধদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় ভাটা মালিক মোকারম হোসেনের ছোটভাই মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ভাটা শ্রমিক আনন্দ রায় ও শরিফুল হককে আটক করে থানা পুলিশ। এর আগে আরো দুইটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতে অংশগ্রহণকারী দিনাজপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রুনায়েত আমিন রেজা বলেন, এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি, পুলিশের একটি গাড়ি ও ভেকু গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এতে আমিসহ তিনজন পুলিশ কনস্টেবল ও ভেকু গাড়ির চালক সুরুজ ও তার সহযোগী মাসুদ আহত হয়েছে। 

ভাটা মালিক মোকারম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ