নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৪

কলেজ পড়ুয়া আপন ছোট ভাইকে গলা কেটে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে বড় ভাই আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে করেছে বিষপান। এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামে।

নিহত আসকাত হোসেন জুয়েল (১৭) রনচন্ডী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে রণচন্ডী ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছোট ছেলে।

সূত্র জানা যায়, রনচন্ডী কুটিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের বড় ছেলে মেহেদী হাসান ও ছোট ছেলে আসকাত হোসেন জুয়েল রাতে এক ঘরে এক সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের নামাজের সময় তার মা নামাজ পড়তে উঠে শব্দ শুনতে পায়। এসময় তার মা ও মেহেদী হাসানের স্ত্রী ঘরে ঠুকে জুয়েলের গলা কাটা ও মাথা কাটা রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায় এবং চিৎকার দেয়।  পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা বড় ভাই মেহেদী হাসানকে নিহত ছোট ভাই জুয়েলের কাছ থেকে সড়াতে গিয়ে দেখতে পায় ছোট ভাই জুয়েলকে গলা কেটে ও মাথায় আঘাত দিয়ে হত্যা করে সে নিজেও আতœহত্যার জন্য বিষপান করেছে। মেহেদী হাসানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বড় ভাই মেহেদী হাসানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওর্য়াডের ইউপি সদস্য খগেন্দ্র নাথের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মেহেদী হাসান মানসিক রোগে ভুগছে বলে শুনেছি। তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। মঙ্গলবার রাতে দুই ভাই এক সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে তার মা শব্দ পেয়ে মেহেদী হাসানের বউসহ দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঠুকে ছোট ভাই জুয়েলের গলা ও মাথা কাটা  মৃত্যু দেহ এবং দেহের উপরে মেহেদী হাসান বসে আছে দেখতে পায়। এসময় তার মা মেহেদী হাসানকে সড়াতে গেলে তার মুখ থেকে বিষের গন্ধ পায়। তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল গলা কেটে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- বড় ভাই পুলিশি পাহারায় চিকিৎসারত রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মানসিক রোগী কি না কাগজ পত্র না দেখে বলা সম্ভব নয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এবিএন/আব্দুর রউফ হায়দার/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ