আজকের শিরোনাম :

লাউ চাষে মাস্টার্স পড়ুয়া পাঁচ বন্ধুর সফলতা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮

চাকরির পেছনে ছুটাছুটি না করে শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম ও মেধাকে ব্যবহার করে কৃষি কাজের মাধ্যমেও সফলতা সম্ভব। সেই ইচ্ছা শক্তি নিয়েই নিজেদের উদ্যোক্তার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে লাউ চাষ করে সফলতার মুখ দেখলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মাস্টার্স শেষ করা পাঁচ যুবক।

উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের গোজাকুড়া গ্রামে এক বন্ধুর নিকট হইতে দুই একর জমি লিজ নিয়ে লাউ চাষ শুরু করেন পাঁচ যুবক সেখান থেকে তারা প্রতি ধাপে আটশত থেকে এক হাজার করে লাউ তুলে তারা সর্বমোট ২০ ধাপে সেই ফসল থেকে লাউ উত্তোলন করেন।  এই লাউ চাষে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে এ পর্যন্ত বিক্রি করেছে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সামনে আরো এক মাস এই লাউ বিক্রি করতে পারবেন তারা। এতে আরো দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন ।তাদের এই লাউ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে । এই লাউ চাষে সফলতা পেয়ে আগ্রহী হয়ে ওই জমির সাথে আরো ৫০ শতাংশ জমি লিজ নিয়েছে এবং সেখানে শসা আবাদ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন এবার তারা। 

এই পাঁচ বন্ধুরা হলেন আবিদ আল আল হাসান সৈকত, আতিকুর রহমান, তানিম মাহবুব, সজল সুত্রধর ও সজিব আহামেদ।  

পাঁচ উদ্যোক্তার মাঝে সজল বলেন, সবজি আবাদের জন্য নিজেদের জমি না থাকায় বন্ধুর দুই একর জমি নিয়ে চাষ শুরু করেছি। প্রথমদিকে এই সবজি চাষে কোনো রকম জ্ঞান ছিল না আমাদের।

যার ফলে প্রথম অবস্থায় তেমন একটা সুবিধা করতে পারতাম না আমরা। তবে ধীরে ধীরে সবকিছু বুঝে নিয়েছি বিভিন্ন এলাকার সফল কৃষকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শের মাধ্যমে।

তারা আরো বলেন, সবজির ভালো উৎপাদন পেতে হলে অবশ্যই ভালো বীজের পাশাপাশি কীটনাশক,ভিটামিনের দরকার হয়। কিন্তু আমরা কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু মাত্র লাগানোর সময় ভার্মি কস্পোষ্ট দিয়েছি। যেটা ব্যবহারে আমরা খুব ভালো সুফল পেয়েছি।

চারা একটু বড় হলে ডিএপি, পটাশ, বোরন, জিপসাম ও মেগনেসিয়াম ব্যবহার করেছি। আমাদের এই ফসলে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করিনি।

লাউ চাষে বিভিন্ন পোকা বিশেষ করে মাছি পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করেছি। বর্তমানে লাউ, শসা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য সবজি চাষ করার জন্য জমি প্রস্তত করতে চলেছি আমরা। তারা জানান, সবজির মাঝে সবথেকে বেশি লাভ আসে লাউ থেকে।

নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষি অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সবজি চাষের মাধ্যমে চাষিরা প্রতিবছরই পাচ্ছেন ব্যাপক সফলতা। চলতি বছর উপজেলায় ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে  বিভিন্ন সবজি। প্রতি বছর সবজি চাষে যুক্ত হচ্ছেন অনেক বেকার যুবক। পাশাপাশি অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী। এভাবে  এই দেশে কৃষির মাধ্যমে বেকারত্বের ছোবল থেকে বেকার যুবকদের রক্ষা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

এবিএন/পুলক রায়/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ