ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২০

নড়াইলের কালিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের (উত্ত্যক্ত) প্রতিবাদ করায় নিলয় মোল্যা (১৪) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তামিম খান নামের আরও এক কিশোর আহত হয়।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিলয় মোল্লা উপজেলার টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্যার ছেলে। সে স্থানীয় টোনা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিলয় ও তামিমসহ কয়েকজন ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ২০-২৫ জনের একটি দল তাদের পথ আটকায়। তারা নিলয় ও তামিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত তামিম জানান, পনের দিন আগে গ্রামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে শাকিল খান নামে একজন। নিলয় মোল্যা এর প্রতিবাদ করে। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শাকিলকে চড় দেন নিলয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ওই ঘটনার জের ধরে আজকে মাহফিল থেকে ফেরার পথে কথা আছে বলে আমাকে ও নিলয়কে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজ্জাক খন্দকার বলেন, তারা মাহফিল থেকে ফেরার পথে জানতে পারি ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খানসহ কয়েকজন দুটি ছেলেকে কুপিয়ে পালিয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার নিলয়কে মৃত ঘোষণা করে।

কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিলয়ের মৃত্যু হয়েছে। তামিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নড়াগাতি থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ