নাব্যতা হারিয়ে পানিশূন্য জলঢাকার নদীগুলো এখন ফসলি জমি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১

এক সময় নীলফামারীর জলঢাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদী সমুহে সারা বছর পানিতে টইটম্বুর থাকত। নদীর বুকে পাল তুলে চলত ছোট বড় নৌকা। এই নদী সমুহ থেকে দুই পাড়ের কৃষকরা হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে সেচ দিতেন । বর্তমানে নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় নদীর বুকে  চাষ হচ্ছে ধান সহ বিভিন্ন ফসল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে নদীসমূহ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ কয়েকটি নদী উপজেলার  ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন বড় নদীতে গিয়ে মিশেছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি পানি শুকিয়ে মাছ ধরে ধান চাষ করেছে। এই ব্যাপারে প্রশাসন নীরব থাকায় নদীর উপকারীতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। নদীর দুই পাড়ের কৃষকরা জানান, এক সময় নদী সমুহে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ ছিল। তা দিয়ে চাষাবাদ করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করা যেত। 
আর আমন ও বোরো ফসলের মৌসুমে  জমিতে সেচ দেওয়ার কোনো চিন্তা করতে হতো না। এখন আর জমিতে সেচ দেয়ার মতো পানি নেই।

 নদী সমুহে দীর্ঘদিন ধরে খনন ও ড্রেজিং না করায় নদীর তলদেশে পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।নদীর দুই তীরে যাদের জমি আছে তারাই নদী দখলে নিচ্ছে। যাদের জমি নেই তারাও ধান লাগানোর ছলনায় নদী দখল করছে।

কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল  এলাকার  একাধিক বাসিন্দা জানায়, নদীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন  ইউনিয়ন ও শহর গড়ে উঠেছে। নদীর যেটুকু অস্তিত্ব রয়েছে তা এখন দখল ও দূষণের কবলে। পুরো নদীগুলো ধানের জমিতে পরিণত হয়েছে।প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় এই অবস্থা চলছে।

উপজেলায় ‘নদী রক্ষা কমিটি’র সাইদুল রহমান বলেন, উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত নদীসমূহ পুনঃখনন ও ড্রেজিং করা না হলে আগামী দুই যুগ পর হয়ত আগামী প্রজন্ম  বিশ্বাসই করতে চাইবে না জলঢাকায় বিভিন্ন নামে নদী ছিল। 

এই বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ বি এম সারোয়ার রাব্বী জানান নদী দখলের জায়গা গুলোতে আমরা উচ্ছেদের ব্যবস্থা করছি। শুকনো মৌসুমে নদীতে ধান চাষ করে দখলে নিলেও বর্ষায় পানি হলে তা দখল মুক্ত হয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার  বলেন, নদী রক্ষায় সরকারের নানামুখী পরিকল্পনা রয়েছে। জলঢাকার নদগুলো এর আওতায় আসবে শীঘ্রই।

এবিএন/হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ