কটিয়াদীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হাতের দুই কবজি বিচ্ছিন্ন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৭
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নকে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধুলদিয়া বাজার সংলগ্ন কাচারির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত নয়নের বাড়ি উপজেলার সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা গ্রামে। তার বাবা শাহজাহান মিয়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জানা যায়, উপজেলার গচিহাটা বাজার থেকে মোটরসাইকেল করে একাই বাড়ি ফিরছিলেন নয়ন। ধুলদিয়া বাজার সংলগ্ন কাচারি মোড়ে মুচি বাড়ির কাছে যাওয়া মাত্র প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে তার দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে পালিয়ে যায়। নয়নের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। তারা নয়নের বিচ্ছিন্ন একটি কবজি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন, অন্য কবজিটি প্রায় চারঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর পাশর্^বর্তী ডোবা থেকে উদ্ধার করেন। রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় অর্থপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বছরদেড়েক আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সতেরদ্রোন এবং রায়খলা গ্রামবাসীদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এ সময় রায়খলা গ্রামের হুমায়ুন কবির (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়। এরপর থেকেই প্রায়ই উভয় গ্রামের গ্রামবাসীদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে। এই বিরোধের জেরে এই হামলা বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী ও নয়নের পরিবার। ঘটনার পর থেকেই সতেরদ্রোন এবং রায়খলা গ্রামের গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হবি মিয়া জানান, আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সতেরদ্রোন গ্রামে হামলা চালানোর জন্য রায়খলা গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধ্রুব/জসিম/রঞ্জন
স্থানীয়রা জানায়, বছরদেড়েক আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সতেরদ্রোন এবং রায়খলা গ্রামবাসীদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এ সময় রায়খলা গ্রামের হুমায়ুন কবির (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়। এরপর থেকেই প্রায়ই উভয় গ্রামের গ্রামবাসীদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে। এই বিরোধের জেরে এই হামলা বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী ও নয়নের পরিবার। ঘটনার পর থেকেই সতেরদ্রোন এবং রায়খলা গ্রামের গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হবি মিয়া জানান, আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সতেরদ্রোন গ্রামে হামলা চালানোর জন্য রায়খলা গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
এই বিভাগের আরো সংবাদ