আজকের শিরোনাম :

শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্যবসায়ীকে খুন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৯

নিহত ব্যবসায়ী মো. মুছা আলী (৪০)
কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে একজন ব্যবসায়ীকে খুন করেছে দৃবৃর্ত্তরা। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো. মুছা আলী (৪০)। তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে জুতা ও কাপড় বিক্রি করতেন। 

বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর বাস স্টেশনের উত্তর পাশের এলাকায়  এ ঘটনা ঘটে। তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার উত্তর নাজির পাড়া গ্রামের মৃত মাজেদ আলীর ছেলে। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে বিয়ে করেছেন। 

নিহতের স্ত্রী নাজিয়া আক্তারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তার স্বামী মো. মুছা বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিচিত একজনের মোবাইল ফোনে কল পেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৯ টার দিকে ভিকটিমের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর মোবাইলে কল করে এক ব্যক্তি জানায় তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। টাকা দিলে ১০ মিনিট পর ছেড়ে দেয়া হবে। পরে অপহরণকারীদের দেয়া একটি বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা হত্যাকাণ্ডের খবর পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, কয়েকজন যুবক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়, এ সময় আশংকাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

নিহতের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার বলেন, তার স্বামী ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে কাপড়, জুতা ও কসমেটিকস নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের দোকানে বিক্রি করতেন। বুধবার রাতে সোহেল নামের একজন পরিচিত ব্যক্তির কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন। তিনি আরও বলেন, যারা তার স্বামীকে আটক করেছিল তারা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চেয়েছিল, পরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো পরও কেন তার স্বামীকে হত্যা করা হলো। 

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহৃ দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ৩টি মাদক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। গত রোববারও কুমিল্লার আদালতে একটি মাদক মামলার হাজিরা ছিল। ওসি  আরও বলেন, ঘটনায় জড়িতরা নিহত মুছার পূর্ব পরিচিত ছিল, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মাদক কিংবা আর্থিক বিরোধ থাকতে পারে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ