জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

সরকারি বিধি মোতাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের যৌথসভার মধ্য দিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করার কথা থাকলেও কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একক সিদ্ধান্তে পরিষদের সকল কার্যক্রম চালানোসহ বিভিন্ন  অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকার বালাগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন ভেন্ডার এর বিরুদ্ধে। 

ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম-অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছে ইউপি সদস্যরা।

গত বৃহস্বাপতিবার (২৫ জানুয়ারি) ১০ জন মেম্বরের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছেন তাঁরা। এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন ভেন্ডার সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে একক সিদ্ধান্তে সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। ইউপি সদস্যরা যেন পরিষদের সদস্যরা প্রতিবাদ করলে কোণঠাষায় পড়তে হয় তাদের। একে একে ভুক্তভোগী সদস্যদের সংখ্যা ১১ জন হলেও তাদের মধ্যে ১০ জনেই যৌথভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ হলো, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর (ফেয়ার প্রাইজ) ২৫৪১ জন সুবিধাভোগীর নিকট হইতে পরিষদের ট্যাক্সের বাবদ ২’শত টাকা হারে আদায়কৃত প্রায় ৫ লক্ষ ৮ হাজার ২’শত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ এবং চলমান অর্থবছরের এডিপি প্রকল্পের টাকা সদস্যদের না জানিয়ে উত্তোলন ও আত্মসাত। ১% হতে প্রাপ্ত অর্থ রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই উত্তোলন ও আত্মসাত। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ এবং চলমান অর্থ বছরের অতি-দরিদ্রদের কর্মসংস্থান ও কর্মসূচি (ইজিপিপির) নন ওয়েজ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভুয়া প্রকল্প দাখিল করে উত্তোলন ও আত্মসাত।

অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন ভেন্ডার বলেন, পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়, আবার মিটমাটও হয়। আমাদের মধ্যে সমস্যা হয়েছে আমরাই সমাধান করবো, এগুলো নিয়ে বারাবাড়ি করার প্রয়োজন নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার মুঠোফোনে বলেন, গত বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ