নড়িয়ায় আগুনে ৬ দোকান পুড়ে ছাই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩০

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরে ভোরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬টি দোকান পুড়ে গেছে। নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের কারণে আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ৩১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের।

আজ শনিবার ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে উপজেলার নড়িয়া বাজারের বড় ব্রিজ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানা যায়, আজ ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে নড়িয়া বাজারের বড় ব্রিজ রোড এলাকার মাহবুব আলমের ব্যাটারির দোকান থেকে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ৬টা ৬ মিনিটে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে। আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আগুনে মাহবুব আলমের ব্যাটারির দোকান, আক্তার হোসেনের ওষুধের দোকান, ইদ্রিস আলীর ফার্নিচারের দোকান, বাবুল শেখের এসি ফ্রিজ মেরামতের দোকান, নাসির শেখের থাই ও অ্যালুমিনিয়ামের দোকান এবং হিরণ মোল্লার ফ্লেক্সি লোডের দোকানসহ ৬টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ফার্মেসী ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, আমার ওষুধের দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেলো। সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার আর কোনো বাঁচার পথ নেই।

নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ব্যাটারির দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্টিফিকেট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের ২টি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দ্রুত আগুন নেভাতে পারায় প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে। তবে চুড়ান্ত প্রতিবেদনে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ