আজকের শিরোনাম :

পলাশবাড়ীতে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হল জেলা আঞ্চলিক ইজতেমা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১০

দেশ-জাতির উন্নতি-অগ্রগতি এবং মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি-ঐক্য ও আখিরাতে মুক্তিসহ বিশ্ব মানবতার মুক্তি কামনায় শেষ হলো তাবলীগ জামাতের আয়োজিত তিন দিনব্যাপী গাইবান্ধা জেলা আঞ্চলিক ইজতেমা। আখেরি মোনাজাত কালে ‘আমিন-আল্লাহুমা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গাইবান্ধার বেতকাপা ইউপি’র মাঠেরবাজার এলাকার ইটভাটা চত্ত্বরের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সন্তুষ্টি লাভের আশায় হাজার হাজার মানুষ আল্লাহর কাছে আর্জি জানান। অনেকে কেঁদে কেঁদে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিশ্ব শান্তির জন্য দো’আ করেন।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ৫৪ মিনিটে শেষ হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগ জামাতের মেহমান ঢাকা থেকে আগত মুরুব্বী কাকরাইল সমজিদের মুফতি মাও. আজিম উদ্দিন সাদ। এরআগে হেদায়েতি বয়ান করেন। 
এদিন সকাল থেকেই আখেরি মোনাজাতের কারণে ইজতেমা মাঠের আশপাশের সড়কের যান চলাচলে ব্যস্ততা ছিল। যারা ইজতেমা ময়দানে পৌঁছাতে পারেননি তারা রাস্তায়, যানবাহনে, দোকানপাটে বসেও মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। সম্মিলিত ‘আমিন’-‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ইজতেমা মাঠ। সর্বস্তরের মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহ তা’আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আখেরী মোনাজাতে ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের মুরুব্বীরা ছাড়াও গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আবু বক্কর প্রধান, সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা, পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু  মো. সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম মন্ডলসহ অত্রএলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।
এদিকে; ইজতেমা মাঠ এলাকাজুড়ে বিশাল সামিয়ানায় সমবেত মুসল্লিদের থাকার ব্যবস্থাসহ অস্থায়ী টয়লেট, অজু ও গোসলের পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমাস্থল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিরাপদ-নির্বিঘœসহ সুষ্ঠু পরিবেশে জেলা পুলিশ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠের চতুর্দিক পুলিশি নিরাপত্তায় কন্ট্রোলরুমসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ফজর নামাজ পর তাবলীগ জামাতের দায়ীত্বশীল মেহমানগণের মধ্যে ভারত থেকে আগত মাও. মুরুব্বী মো. হেদায়েত হোসেন খান-এর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে তিনদিন ব্যাপী জেলা আঞ্চলিক ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এবারের ইজতেমায় গাইবান্ধা জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসমূহ ছাড়াও ভারত, শ্রীলংকা, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা থেকে মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করে। 

এবিএন/আরিফ উদ্দিন/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ