আজকের শিরোনাম :

কচুয়ায় জমে উঠেছে বীজপাতার হাট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬

বাগেরহাটের কচুয়ার বাধালে বীজপাতার (পাতো) হাট জমে উঠেছে। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার কাক ডাকা ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রতার হাক-ডাকে মুখরিত হয়ে থাকে এ বীজপাতার হাট।

বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ হাটে দুর দরান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা ব্যবসায়ীরা বীজপাতা ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে। প্রতি বছর পৌষ মাসের শুরু থেকে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ হাটে বীজপাতা ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। শতাধিক ব্যবসায়ী বীজপাতার ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে। প্রতি বছর তার কৃষকদের বীজতলা থেকে বীজপাতা  ক্রয় করে এ হাটে এনে বিক্রয় করে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১টি ব্লকে হাইব্রীড জাতের ৬ হাজার ৮শ হেক্টর এবং উফশী জাতের ১ হাজার ৯শ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষের আওতায় আনার লক্ষ্য মাত্রা আছে। এ মৌসুমে প্রায় ৪ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বীজপাতা তৈরী করা হয়েছে। 

বাধালের বীজপাতার হাট ঘুরে দেখাগেছে, প্রতি পোন বীজপাতা (৮০ মুটি) প্রকার ভেদে ২৯০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে। ১ কেজি বীজ ধানে ১২০ থেকে ১৩০ মুটি বীজপাতা হয়ে যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬/৭শত টাকা। কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ, বাধল, রঘুদত্তকাঠী, মসনী, গোপালপুর, বলভদ্রপুর, বিষখালী, রামচন্দ্রপুর, কচুবুনিয়া সহ পাশবর্তী জেলার কৃষক ও এহাটে এসে বীজপাতার ক্রয় করছে। চলতি মৌসুমে বীজপাতার দাম কম থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেক কৃষক তাদের জমি রোপনের পর অতিরিক্ত বীজপাতা হাটে এনে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। ক্রেতারা ভালো মানের বীজপাতা  ক্রয় করতে পারছে।

বীজপাতা ব্যবষায়ী নাদের শেখ বলেন, ব্যবসার উদ্দেশ্যে ১০ হাজার টাকার বীজ ধান ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করেছেন। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫/১৬ হাজার টাকা। বীজতলা থেকে চারা তুলে বাজারে আনা পর্যন্ত খরচ হয় প্রতি পোন ৪শত থেকে ৫শত টাকা। এবছর বীজপাতার দাম কম থাকায়  লাভ হবে না। তার পরেও  চাহিদা আছে। কৃষক কালাম শেখ বলেন, চলতি মৌসুমে বীজ পাতার চাহিদা কম সেই জন্য দামও কিছুটা কম। ৩ পোন বীজপাতা(পাতো) ক্রয় করার জন্য হাটে আসছি। এক পোন বীজ পাতা থেকে ৩/৪ কাঠা জমি রোপন করা যায়।

কচুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সার বিতরণসহ কৃষকদের প্রশিক্ষণের ও  বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকি। এখন বরো মৌসুম আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঠপর্যা বীজতলা পরিদর্শন করে থাকে। অনেক কৃষক  বাজার থেকে বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন তাদের জমিতে লাগিয়ে উদ্বৃত্ত চারা বাধাল বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে তার বাজার থেকে এই চারা ক্রয় করে সঠিক সময়  তাদের জমিতে রোপণ করতে পারছে।

এবিএন/শুভংকর দাস বাচ্চু/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ