কালীগঞ্জে প্রতিবন্ধী ভাই-বোন পেল নতুন ঘর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের সিংগী গ্রামের একই পরিবারের তিন ভাই বোন প্রতিবন্ধী। বড় ভাই লিপন দাসের (৩৮) একটি পা সুস্থ স্বাভাবিক না থাকা সত্ত্বেও ভ্যান গাড়ি চালিয়ে দুই যুগের বেশি সময় বিছানায় পড়ে থাকা বোন লিপি দাস (২৭) ও ভাই  শিমুল দাস (২৩) সহ নিজের পরিবারের জীবন জীবিকার  জন্য ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ি চালিয়ে কোন রকম দিনযাপন করে আসছিল। 

অসহায় এ পরিবারের দূরঅবস্থা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রতিবন্ধী তিন ভাই বোনের কষ্টে দিনযাপনের গল্পটি সকলের সামনে আসে। থাকার জন্য ঘর না থাকাটা ছিল প্রতিবন্ধী এই পরিবারের জন্য সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা। 

পরবর্তীতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের নজরে এলে তার তত্ত্ববধানে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গির সিদ্দিকি ঠান্ডুর, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা "সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন" এবং সিংগী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক তরিকুল ইসলাম তুহিন সহ অনেকের সহযোগীতায় প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের জন্য একটি নতুন পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়।ঘরটি গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে লিপন দাসের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার  পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গির সিদ্দিকি ঠান্ডু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভি, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস প্রমুখ  নতুন ঘর পেয়ে লিপন দাস জানান, নতুন এ ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। এবার আমার ভাই বোনদের নিয়ে ভালভাবে থাকতে পারবো। 

নতুন ঘর হস্তান্তর শেষে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, আজ তাদের কাছে নতুন ঘরটি হস্তান্তর করতে পেরে  আমি আনন্দিত। পরিবারটির প্রতি আমি খেয়াল রাখবো। নতুন ঘর হস্তান্তর শেষে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ এস এম জাহাঙ্গির সিদ্দিকি ঠান্ডু জানান, এ পরিবারটির আর কোন সহযোগীতা হলে ভাল হয় সে ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখা হবে।

সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ^াস বলেন, আমরা সুশাসন, মানবাধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে সাধারণত কাজ করে থাকি। তাদের দুরবস্থার খবর পত্রপত্রিকায় পড়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি। পরে আমি নিজে, বেশ কিছু দানশীল ব্যক্তি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের বসবাসের জন্য একটি বাড়ি করে দিতে পেরে ভাল লাগছে। 

এবিএন/নয়ন খন্দকার/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ