আজকের শিরোনাম :

আজ মূল ভূ-খণ্ডে আসছে ভোলার গ্যাস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০

দ্বীপ জেলা ভোলার গ্যাস ঢাকায় আসছে আজ। পাইপলাইন না থাকায় আপাতত সিএনজিতে (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) রূপান্তর করে ঢাকায় আনা হবে এ গ্যাস। পরে তা সরবরাহ করা হবে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকার শিল্প-কারখানায়। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম পড়বে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় সিএনজি স্টেশন অপারেটর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকোর উদ্যোগের উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

ইন্ট্রাকো এ বছরের ২১ মে রাষ্ট্রায়ত্ত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) সঙ্গে ঢাকা ও গাজীপুর ও টাঙ্গাইলসহ আশেপাশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

১০ বছরের চুক্তির অধীনে, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড দক্ষিণের জেলা ভোলা থেকে সিএনজি আকারে বড় ট্রেলারে গ্যাস আনবে। প্রতিটিতে ৪,০০০ ঘনমিটার গ্যাস থাকবে। প্রতি ইউনিট (১,০০০ ঘনফুট) ৪৭.৫০ টাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করবে।

চুক্তি অনুযায়ী, স্থানীয় সংস্থা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস ও পরে ২০ এমএমসিএফডি গ্যাস বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করবে।

ভোলার মাঠ থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। তবে শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্যাস বিক্রির হার সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

বাপেক্স ও এসজিসিএল উভয়ই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন পেট্রোবাংলার সহযোগী সংস্থা।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনটি প্রমোট এনহ্যান্সমেন্ট অব ইলেক্ট্রিসিটি অ্যান্ড এনার্জি সাপ্লাই (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর অধীনে চুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২,৫৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। যার মধ্যে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২,০৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। প্রায় ৪,০০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে।

ভোলার দুটি গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ এমএমসিএফ, যেখানে উৎপাদন ৮০-৮৫ এমএমসিএফের মধ্যে থাকে। ফলে শাহবাজপুর ও ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের আটটি কূপে প্রায় ১২০ এমএমসিএফ অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

পাইপলাইন এবং ট্রান্সমিশন সুবিধার অভাবে প্রয়োজন থাকলেও সরকার ভোলার কূপ থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকা ও অন্য অঞ্চলে সরবরাহ করতে পারেনি।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ