পাঁচবিবিতে ভেজাল বীজ আলুতে কৃষকের সর্বনাশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০০

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ভেজাল বীজের কারণে কোনো জমিতে আলুর চারা গজায়নি। আবার কোনো জমিতে বীজ আলু থেকে চারা গজানোর পর গোড়ায় বীজ আলু পচে যাচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, নিম্নমানের ভেজাল বীজ আলু ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন তারা। একই জমিতে দুবার বীজ বপণ করেছেন কেউ কেউ।

চলতি মৌসুমে নিম্নমানের ভেজাল বীজ আলুতে কপাল পোড়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ভেজাল বীজের কারণে কোনো জমিতে আলুর চারা গজায়নি। আবার কোনো জমিতে বীজ আলু থেকে চারা গজানোর পর গোড়ায় বীজ আলু পচে যাচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, নিম্নমানের ভেজাল। বীজ আলু ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন। ভেজাল বীজ আলু জমিতে লাগানোর কারণে তারা এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক কৃষক আবার নষ্ট হওয়া ক্ষেতে নতুন করে সরিষাসহ অন্য ফসল রোপণ করেছেন। এই চিত্র উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বেশকিছু ফসলের মাঠের। 

তবে কৃষকদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখভালের অভাবে বিভিন্ন দোকানে এসব ভেজাল বীজ আলু বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া সময় মতো কৃষি অফিসের লোকজনদেরও পরামর্শের জন্য পাওয়া যায় না।

কুয়াতপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার মাটিরঘর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে আলু লাগানোর জন্য বারী-৮৬ নামের বীজ আলু ক্রয় করেন। ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তাা বীজ আলুর দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা। ১৪ বস্তা বীজ আলু কিনে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে রোপণ করেছি। আলু লাগানোর পর অর্ধেক বীজ আলুর চারা গজায়নি। এ কারণে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে হালচাষ, সার, কীটনাশক, সেচ, শ্রমিকসহ সবমিলিয়ে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলুর বীজ পচে যাওয়ায় খরচ উঠা নিয়ে শঙ্কায় আছি।

আরেক কৃষক রস্তম আলী মন্ডল বলেন, আমার ১৮ থেকে ১৯ বিঘা জমির জন্য বারী-৮৬ আলুর বীজ কিনে রোপণ করেছি। ভেজাল বীজের কারণে আমার ৭০ শতাংশ আলুর চারা গজায়নি। বাকি ৩০ শতাংশ চারা গজানোর মধ্যে আবার ২০ শতাংশ বীজের গাছ পচে গেছে। বাকি ১০ শতাংশ আলুর বীজের চারা টিকলে ও এখন নতুন করে আবার অন্য বীজের চারা রোপণ করছি, ভেজাল বীজে চারা না গজানোয় আমিসহ হতাশ হচ্ছে অনেক কৃষক। 

ভেজাল আলু বীজের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আলু লাগিয়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে যে আবহাওয়া চলছে, তা এখন পর্যন্ত আলু চাষের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ভেজাল আলুর বীজের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব আমার অফিসের না। তবে কোনো কৃষক যদি প্রমাণসহ অভিযোগ করেন, তাহলে বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।

এবিএন/সজল কুমার দাস/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ