ডাকাতিয়া নদীতে ভাঙন, আতঙ্কে পাঁচ শতাধিক পরিবার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৪

চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে গত তিন দিনে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে প্রায় একশ মিটার এলাকা। যার কারণে স্থানীয় জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। শুধু তাই নয়, নদী থেকে প্রায় একশো মিটার দূরত্বে রয়েছে রেলস্টেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজারসহ অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি। নদী ভাঙন রোধ না হলে হুমকির মুখে পড়বে এসব প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। তাই তারা নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতিয়া নদী প্রতিবছর অল্প অল্প করে ভাঙছে। গত এক দশকে শুধু মৈশাদীতেই ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি। অচিরেই নদী ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তায় বসবাস করতে হবে ওই এলাকার নদীর পাশে বসবাসকারী প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারকে।

ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন সম্পর্কে নদীর পাশে বসবাসকারী আবুল বাশার বলেন, প্রতিবছর নদী আমাদের জমি একটু একটু করে ভেঙে নিয়ে যায়। আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সবাইকে অবহিত করেছি। সবাই আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু কাজ হয় না। অল্প অল্প করে ভাঙে তাই কেউ আমাদের দিকে নজর দেয় না। গত ১০ বছরে আমাদের এলাকার এক কিলোমিটারের মদো জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। ছিন্নমূল হয়ে গেছে প্রায় শতাধিক পরিবার। এখন আমাদের ভিটেবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। বাড়িটা নদীতে তলিয়ে গেলে থাকবো কোথায় জানি না।

ভাঙন এলাকায় বসবাসকারী আসমা বেগম জানান, এখন নদীটি যেখানে ভাঙছে সেখানে আমাদের বসতঘর, রান্নাঘর ছিল। প্রতিবছর এখানে নদীতে ভাঙে। তাই গত বছর ঘরগুলো সরিয়ে নিয়েছি। এরপর আর জায়গা নেই। নদীতে ভাঙলে কি করব জানি না।

মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনের বিষয়টি বহুবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু মৈশাদীবাসীর দুঃখ লাগব হয়নি একটুও।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, ভাঙনের বিষয়টি জেনে আমি আমার দপ্তরে লোক পাঠিয়েছি। আজ কালের মধ্যে আমি ভাঙন স্থলে যাব।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, ডাকাতিয়া নদীর বেশ কয়েকটি এলাকা ভাঙন রোধে একটি ডিপিপি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটি পাস হলেই ভাঙন রক্ষায় কাজ করা হবে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ