সাদুল্লাপুরে আগুনে বিধবার বসতঘর পুড়ে ছাই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৫

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বাজার অভ্যন্তরে মনিরা পারভীন নামের বিধবা এক নারীর বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মিভূত হয়।

বুধবার (০৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছালাম মিয়ার স্ত্রী মনিরা পারভীনের বাড়িতে এ ঘটনাট ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বরাত দিয়ে সাদুল্লাপুর ফায়ার সার্ভিস সুত্র জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হঠাৎ ওই বাড়ির একটি রুম থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মূহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঘটনার রাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সকলেই কয়েকদিন আগে থেকে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় ওই বাড়িতে শুধু একজন ভাড়াটিয়া ছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্থ মনিরা পারভীনের ছোট ভাই আহমেদ জুয়েল  বলেন, ভয়াবহ আগুনের তান্ডব দেখে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে একদেড় ঘন্টা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে টিনশেড বিল্ডিং বাড়ির ৫ টি রুমের টিভি-ফ্রিজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন আসবাপত্রসহ প্রায় ২০  থেকে ২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাদুল্লাপুর সিভিল ডিফেন্স এণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র বর্মা বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে  অগ্নি নির্বাপক একটি দল নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই বাড়িতে যাওয়ার সড়কটি একেবারে সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।পরে নানা কৌশলে স্থানীয়দের সার্বিক সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আরেফিন আক্ষেপ করে বলেন, সড়কটি অনেক বড় ছিল।কিন্তু এ এলাকার কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি সড়কটি দু,পাশের  কিছু অংশ অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ীভাবে বসতভিটা গড়ে তুলছেন। একারনে সড়কটি সংকুচিত হওয়ায় ছোট্র এই সড়কে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঢুকতে না পারায় এতো বড় ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয় কখনো কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে ওই সড়কে কোন এ্যাম্বুলেন্স কিংবা মাইক্রোবাস ঢোকে না। তিনি আরো জানান,ইতিপূর্বে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে লিখিত ভাবে অবগত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। 

সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওছার হাবীব বলেন,আমি অল্পদিন হলো এ উপজেলায় যোগদান করেছি। একারনে বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনটি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে জানিয়েছেন। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করেছি। সেখান থেকে কোন বরাদ্দ পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিবারটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে।

এবিএন/মোঃ শহিদুল ইসলাম/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ