আজকের শিরোনাম :

রুমায় প্রবারণাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি, পাহাড়ে লেগেছে রং

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:২৩

বর্ণিল ফানুসে ছেয়ে যাবে পাহাড়ের সন্ধ্যার আকাশ, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন, আতশবাজির ঝলকানি আর মাহারথ টানা সহ নানা আয়োজনে মেতে উঠবে পাহাড়। রবিবার (২৮ অক্টোবর) থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন শুরু হবে। প্রবারণাকে ঘিরে সাঙ্গু নদীর কোলঘেষে গড়ে ওঠা রুমার ছোট বাজার লোকে লোকারণ্য। এরই মধ্যে সরগরম হয়ে উঠছে মারমাদের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মালম্বী বড়ুয়া, চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা পাড়াগুলো। 

বান্দরবানের রুমা উপজেলার শতাধিক বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণাকে সামনে রেখে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিটি বিহারে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান, মারমা ঐতিহ্যবাহী নাটক (পাংখুং) মঞ্চায়ন, বিহারে ছোয়াইং (অন্ন) ও অর্থ দান, আকাশ প্রদীপ বা ফানুস ওড়ানো, বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। 

বৌদ্ধরা প্রবারণা উৎসব অত্যন্ত সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। ঘরে ঘরে আয়োজন করে নানা প্রকার উপাদেয় ভোজের, তৈরি করা হয় বিভিন্ন প্রকার পিঠা, পায়েস। সকালে আবালবৃদ্ধবনিতা নতুন বস্ত্র পরিধান করে অন্ন ভোজ্য, প্রদীপ, ফুল ইত্যাদি সহ স্থানীয় বিহারে উপগত হয়ে বুদ্ধ পূজা এবং উপাসক-উপাসিকা, ভিক্ষু-শ্রামণদের আহার্যাদি দান করে থাকে। পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণসহ ধর্মীয় আচারাদী পালন করে। বিকালে ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং সন্ধ্যায় অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ওড়ানো হয় আকাশ প্রদীপ বা ফানুস বাতি।

প্রবারণা উৎসবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ উপভোগ করতে পারেন, এটি পরিণত হয় অসাম্প্রদায়িক সার্বজনীন উৎসবে। এ উৎসব বৌদ্ধ সংঘের মধ্যে পারস্পরিক মৈত্রী, সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা বৃদ্ধি ছাড়াও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে বন্ধুত্ব ও অসাম্প্রদায়িক ভাবধারা সুদৃঢ় করে। 

প্রবারণা উৎসব শেষে মাসব্যাপী দিন তারিখ ভেদে প্রতিটি বিহারে শুরু হবে কঠিন চিবর দানোৎসব।

এবিএন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ