কটিয়াদীতে টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০১ | আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১২

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে ১ হাজার ৯০০টি পুকুর ও ফিসারির মাছ ভেসে গেছে। অনেকের ফসলি জমিতে এখনো পানি জমে আছে। এতে আমন ধান ও সবজির ফলন বিপর্যয়সহ ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের কপালে।

চাষিরা জানান, আশ্বিন মাসে অত বৃষ্টি তারা আগে কখনও দেখেননি। মূলত আশ্বিন-কার্তিক মাসে বৃষ্টি হলেও তখন ফসলের ততটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু এ বার ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষেতে জল জমে গিয়েছে। ওই জল সরতে বেশ সময় লেগে যাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। ফলে নিচু অঞ্চলের আমন ধান ও জমিতে থাকা কাঁচা মরিচ, বেগুন, মূলা, করলা-সহ শীতের আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার আসাদ মিয়া জানান, তার বাড়িসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চারপাশে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় রান্না করার জন্য চুলাও জ্বলাতে পারছেন না।

এছাড়া গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কটিয়াদী পৌরসভার কিছু কিছু রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা যায়। বোঝার উপায় নাই কোথায় পুকুর, কোথায় মাঠ। এসময় সাধারণ মানুষদের মাছ শিকার করতে দেখা যায়।
উপজেলার বেতাল গ্রামের মৎস্য চাষি সাধন কুমার বর্মন জানান, উপজেলার রামদী এলাকায় লিজ নেওয়া ৭ বিঘার একটি পুকুর টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। এতে ৫ লাখ টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, গত দুদিনের ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার ১ হাজার ৯০০টি পুকুর ও ফিসারি তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, আমরা মাঠে থেকে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছি। তবে চুড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আরো সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
ধ্রুব/জসিম/রঞ্জন

এই বিভাগের আরো সংবাদ