আজকের শিরোনাম :

কাপ্তাইয়ের পানি বেড়ে ডুবল রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৮

টানা বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়েছে। এতে ডুবে গেছে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স সেতুটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। সেতুর পাটাতনের ওপর পানি ওঠায় গতকাল সকাল থেকে সেতুতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

সেতুতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিসের পাশাপাশি লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। আবার অনেকেই এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘুরে বেড়াচ্ছে ডুবন্ত সেতুতে। ঝুলন্ত সেতুর এমন অবস্থা দেখে হতাশ পর্যটকরা। আর এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বেড়াতে আসা একাধিক পর্যটক বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে রাঙ্গামাটি বেড়াতে এলাম। এসে দেখি ঝুলন্ত সেতুটি অনেকাংশে ডুবে আছে। হতাশ হওয়া ছাড়া কিছুই বলার নেই। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নজর দেয়ার দাবি জানাই।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘গতকাল সকাল ৮টার দিকে আমরা লক্ষ করেছি সেতুর ওপর পানি উঠেছে। ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনের ওপর ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত পানি উঠেছে। পাটাতন পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে আপাতত সেতুতে প্রবেশ বন্ধের পাশাপাশি টিকিট বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নেমে গেলে পরবর্তী সময়ে সেতুটি পর্যটকদের প্রবেশের জন্য খোলা এবং টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।’

কাপ্তাই হ্রদের পানি পরিমাপ করে থাকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানিয়েছে, রুলকার্ড অনুযায়ী গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ১০৫ দশমিক ৭০ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। নিয়মানুসারে হ্রদে পানি থাকার কথা ৯৯ দশমিক ৪৬ এমএসএল। পর্যটনসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, হ্রদে পানি ধারণ সক্ষমতার রুলকার্ড না মেনে অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়লেই ডুবে যায় দেশ-বিদেশে পরিচিত ঝুলন্ত সেতুটি।

প্রসঙ্গত, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ সক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। যদিও ১০৯ এমএসএল পর্যন্ত পানি ধারণ সক্ষমতা থাকলেও হ্রদের পানি ১০৫ এমএসএল হলেই ডুবে যায় সেতুটি। এদিকে কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২০ এমএসএল জলসীমার মধ্যে বা নিচে কোনো স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি নেই। কিন্তু এ জলসীমার নিচেই নির্মিত হয়েছে সেতুটি।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ