আমতলীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি খাল দখলমুক্ত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৩:৪৫

বরগুনার আমতলীর রাওঘা গ্রামে প্রভাবশালীর কবল থেকে সরকারি খাল দখলমুক্ত করেছেন আমতলী উপজেলা প্রশাসন।

রবিবার দুপুর ১২টায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল জাহের, আমতলী থানার অফিসার  ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু, বরগুনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফ উল হাসান আরিফ সরেজমিন  পরিদর্শন করে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিন রাওঘা ও উত্তর রাওঘা গ্রামের জে এল নং ২৫ এর ৩০২০ নং দাগে ১ একর ২৪ শতাংশ খালের মধ্যে প্রভাবশালী হবিবুর রহমান ও মাওলানা সুলতান আহমেদের দেয়া বাঁধ দুটি কয়েক শত ভুক্তভোগী কৃষকের উপস্থিতে কেটে দেন।

স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাওঘা ও উত্তর রাওঘা গ্রামের জে এল নং ২৫ এর ৩০২০ নং দাগে ১ একর ২৪ শতাংশ একটি খাল যা জনসাধারণের ব্যবহার্য নৌকা ইত্যাদি চলাচলের জন্য ইউনিয়ন বোর্ড রক্ষিত বলে রেকর্ডে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সমগ্র খালটি এলাকার প্রভাবশালী মামলা বাজ নামে খ্যাত মো. হাবিবুর রহমান, মো. জালাল আকন, মো. সুলতান খালটির মধ্যে ২টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেছেন। খালের  পাড়ে বসবাসরত প্রায় শতাধিক পরিবারকে প্রভাবশালী হাবিব, জালাল আকন, মো. সুলতান খালের পানি ব্যবহার করতে দিচ্ছিলোনা। এমনকি  গরু মহিষকে পানি পান করাতে দিচ্ছেলিনো, গৃহস্থলি কাজের থালা ভাসন ধোয়ার কাজ করতে দিচ্ছেনা। এককথায় খালের পাড়ে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের লোকজনদেরকে ঐ খালের প্রবেশ করা খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল  খাল দখলকারীরা। সম্প্রতি খালের পাড়ে বসবাসরতদের হাঁস খালে প্রবেশ করলে দখলকারীরা হাঁস ধরে জবাই করে ভুড়িভোজ করে। দখলকারীরা এতটা প্রভাবশালীযে  গ্রামবাসীর কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করতেন।

প্রভাবশালীদের দখল থেকে খালটি মুক্ত করে সাধারণ মানুষদের ব্যবহার করার দাবিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল ভুক্তভোগী রাহিমা বেগম, নাছিমা বেগম, জসিম উদ্দিন বাবুল মৃধা, নাইম, জাহিদুলসহ শতাধিক ভুক্তভোগী।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে উপজেলা প্রশাসন ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রবিবার দুপুর ১২টার সময় কয়েকশত কৃষকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খালের মধ্যে দেয়া প্রভাবশালীদের বাঁধ কেটে দেন। 

ভুক্তভোগী জসিম মৃধা, বাবুল মৃধা বলেন, অ্যাডভোকেট আরিফ উল হাসান আরিফ আমাদের কৃষকদের পক্ষ থেকে খালের বাঁধ অপসারণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। 

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল  আলম মুঠোফোনে বলেন গ্রামবাসী অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তপূর্বক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শতশত  ভুক্তভোগী মানুষের উপস্থিতিতে খালের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে।

এবিএন/শাহ্ মুহাম্মদ সুমন রশিদ/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ