আজকের শিরোনাম :

তিতাসে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, ১০ জনের নামে অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ১০:২৭

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. বাবুল আহমেদের ওপর হামলার ঘটনায় একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লাকে(৭০) ১নং প্রধান   আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে  আরও ২০/২৫ জনের অজ্ঞাত রেখে শনিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বাবুল চেয়ারম্যানের স্ত্রী নার্গিস আহমেদ।

বাবুল চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাতাকান্দি বাস স্টেশনে।

হামলার স্বীকার ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমি আমার নিজ বাড়ি হরিপুর যাই আমার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করার জন্য, এসময় সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে আসতেছে এমন খবর পেয়ে আমি দ্রুত বাড়ি থেকে চলে আসি, আমার গাড়ির পেছন পেছন দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এসে বাতাকান্দি বাজারে এসে পৌঁছলে যানজটে পরলে আমার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৮-০৮৪১ ভাংচুর করে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে, এসময় আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে আমি দ্রুত ঢাকা এসে চিকিৎসা নিচ্ছি। 

এ ঘটনায় বাদী হয়ে আমার স্ত্রী নার্গিস আহমেদ, তিতাস  থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার বড় ছেলে  মো. বাদল মোল্লা বলেন, বাবুল চেয়ারম্যান, আমার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার আসামী তাই আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য এই অভিযোগ তুলছে। আমাদের লোকজন শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়া এমপির বাড়িতে ছিল, কে বা কারা হামলা করেছে আমরা জানিনা। এখন শুনতেছি আমার বাবা আবুল হোসেন মোল্লাকে (৭০) ১নং আাসমী করে আমাদের তিন ভাইসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০/২৫ অজ্ঞাত রেখে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বাবুল চেয়ারম্যান এর স্ত্রী।  আমরা এর সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি এবং বাবুল চেয়ারম্যান নাকি ঢাকা চলে গেছেন।  এ ঘটনায় বাবুল চেয়ারম্যানের স্ত্রী একটি অভিযোগ দিয়েছেন, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

উল্লখ গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিকেলে সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লা গ্রুপ ও একই গ্রামের সাইফুল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরবর্তীতে বাবুল চেয়ারম্যান ঘটনা স্থলে গিয়ে মিমাংসা করে দিবে বলে  জহির ডেকে আনলে সাইফুল মেম্বারের লোকজন জহিরকে ধরে বাড়ির বিতরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ