লোহাগড়ায় বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিপরীক্ষা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:২৬

নড়াইলের লোহাগড়ায় বিনামূল্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টিপরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) দুপুরে লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে দৃষ্টিপরীক্ষা করা হয়। সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় কৈশোরবান্ধব প্রকল্পের আওতায় ৬৭ জন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের চোখে সমস্যা পাওয়া যায়।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন, লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম মাসুদ, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুজ্জামান হায়াত, মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলাম, ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস তন্বী, ব্র্যাকের রিজওন্যাল ম্যানেজার মনির হোসেন মোল্যা, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলামসহ অনেকে। 

সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন জানান, ‘কৈশোরবান্ধব নড়াইল জেলা’ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের চোখের দৃষ্টিপরীক্ষা করা হয়েছে। 

এর প্রায় দুই মাস আগে লোহাগড়া পাইলট স্কুলে ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কর্ণার’ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া নড়াইল সদরের গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।  
সিভিল সার্জন বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে ১০ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত সময়টা কৈশোরকাল। এ বয়সে হরমোন পরিবর্তন হয়। এ কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ওজন ও উচ্চতা বাড়ে, হাড়ের গঠন হয়, পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এ সময়ে তাদের ‘গাইড’ করার প্রয়োজন হয়। কৈশোরকালটা সামলে নিতে না পেরে অনেকে বিপথে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে ধুমপানে আসক্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার অভাব দেখা দেয়। কৈশোরবান্ধব প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে জানতে পারবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। চিকিৎসাসেবা প্রদান করা।  

নড়াইলের তিনটি উপজেলায় শিক্ষার্থীবহুল তিনটি করে নয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নড়াইল সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়সহ জেলার মোট ১১টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। এছাড়া কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে এ কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে ঝরেপড়া শিশু এবং অল্প বয়সে বিয়ের শিকার ছেলেমেয়েরাও এর সুফল পাবে। এ কার্যক্রম আমার নিজস্ব উদ্যোগে করা হয়েছে। এর আগে চাঁদপুর জেলায় এ কার্যক্রম চালু করে এসেছি এবং সফল ভাবে তা সম্পন্ন হয়েছে। 

এবিএন/ফরহাদ খান/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ