মুক্তিপণ দিয়েও ৩৬ ঘণ্টা পর পেলেন একমাত্র ছেলের লাশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৩

হত্যাকাণ্ডের শিকার তাওহীদ হোসেন।
অপহরণের শিকার একমাত্র ছেলে তাওহীদ হোসেনকে (১০) ফিরে পেতে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও ফেরত পাননি মা তাসলিমা আক্তার। অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা পর পেয়েছেন তার লাশ।

এ ঘটনায় গ্রেফতার মো. মকবুল হোসেনের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তাওহীদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।  

নিহত তাওহীদ আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, মকবুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ভুক্তভোগী পরিবারের বাসায় কিছুদিন আগে কাজ করেছেন। তার ধারণা ছিল তাওহীদের বাবা প্রবাসী হওয়ায় মোটা অঙ্কের অর্থ মুক্তিপণ আদায় করা যাবে। এ জন্য ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।

র‍্যাব আরও জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাওহীদকে অপহরণ করেন মকবুল। পরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে তাকে বেঁধে রাখেন। পরে ফোন দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তাওহীদ চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।

তাওহীদের মা তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘শনিবার রাত ৯টায় আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া থেকে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়। আমার বাসার পাশে একটি মোবাইল ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। সেই মোবাইলে কল করে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।’’

তিনি বলেন, ‘ছেলেকে ফিরে পেতে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হই। তবে তারা ১০ লাখের কমে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবে না বলে জানায়। পরে তিন লাখ টাকা রাজেন্দ্রপুর ওভারব্রিজের ওপর একটি পিলারের নিচে রেখে যেতে বলে।’

অপহরণের বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি  র‍্যাবকেও জানানো হয়। পরে টাকা নেয়ার সময় মকবুল হোসেনকে  হাতেনাতে গ্রেফতার করেন র‍্যাব সদস্যরা।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ