আজকের শিরোনাম :

এবার টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুরে বন্যার শঙ্কা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ১৭:৩৫ | আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১৮:০০

উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আর এর ফলে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

রবিবার (১৯ জুন) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনাসহ  লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আর নতুন করে প্লাবিত হতে পারে টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চল।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর সবগুলোরই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি নদীর ১৮ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সকল প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

এই সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারেও বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। একই সময়ে তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা উপরে অবস্থান করতে পারে। 

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এই সময়ে টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, সুরমা, কুশিয়ারা, ঘাঘট এবং সোমেশ্বরী নদীর ১৮ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। তবে সারিগোয়াইন, খোয়াই, পুরতন সুরমা ও কংশ নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। 

যেসব নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় দুই পয়েন্টের পানি। কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টের পানি ১৬০ এবং সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে কেন্দ্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটের জাফলং-এ ৩১৭ মিলিমিটার।  এছাড়া সিলেট পয়েন্টে ৩১৫, সিলেটের লালাখালে ৩১১, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণবাগ পয়েন্টে ২০৫, লাটুতে ১৭৫, কানাইঘাটে ১১০, জকিগঞ্জে ১৯৩, শেওলায় ১১৫ এবং সুনামগঞ্জে ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।  
 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ