আজকের শিরোনাম :

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর উদ্ধার হয়েছে আশামনির মরদেহ

  বিবিসি

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশু আশামনির মরদেহ। গত শনিবার ঢাকার কদমতলীর ডিএনডি খালে পড়ে যায় পাঁচ বছর বয়সের ওই শিশুটি। এরপর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

পরে আজ ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ঝিলপাড় নামে একটি এলাকা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, মেয়েটির লাশ সন্ধানের জন্য ঘটনার দিন থেকেই তারা ওই খালের ময়লা সরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে খালের ওপর ভাসমান ময়লার নীচে চাপা পড়া অবস্থায় মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।

খালের ময়লা পানির স্রোতে মেয়েটি এতো দূরে ভেসে গিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। লাশটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হলেও ময়নাতদন্ত করা হয়নি।

ময়নাতদন্ত না করতে মেয়েটির পরিবার, এবং স্থানীয় কমিশনার লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে।

ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন ময়নাতদন্ত ছাড়াই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আশামনির নিখোঁজএবং উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

আশামনির মামা মো. মোশারফ জানান, পহেলা ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়েরবাগ-কদমতলী সড়কের পাশে কালভার্টের ওপর অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে গিয়েছিল আশামনি। এক পর্যায়ে বল মেরাজনগরের ডিএনডি পয়ঃনিষ্কাশন খালে পড়ে গেলে আশামনি বলটি উঠাতে গিয়ে খালের পানিতে তলিয়ে যায়।

মেয়েটির সাথে যেসব বাচ্চারা খেলছিল তারাই গিয়ে আশামনির পানিতে পড়ে যাওয়ার খবর দেয়। পরে মেয়েটির বাবা-মা ও স্থানীয়রা খালে নেমে আশামনিকে খুঁজতে থাকে।

এরপর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী ডুবুরি দল পুরো খালে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েও মেয়েটিকে খুঁজে পায়নি। খালে অত্যধিক আবর্জনা থাকায় তল্লাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন তারা।

ফায়ার সার্ভিস এবং সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে।

অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে আজ ময়লার স্তূপের নীচে ভাসমান অবস্থায় মেয়েটির লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে পরিবারের স্বজনরা।

তবে এই উদ্ধারকাজে বিলম্ব হওয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন আশামনির মামা মো. মোশারফ।

তিনি জানান, ঘটনার দিন ফায়ার সার্ভিসের লোক আসলেও ওই দিন রাতে ময়লা আর আলোর সংকটের কারণে কাজ করতে পারে নাই। পরের দিন সকাল ৮টায় তাদের আসার কথা থাকলেও অনেক দেরীতে আসেন। উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য সিটি কর্পোরেশনের যেসব লোক দেয়ার কথা তাদেরও পাওয়া যায়নি।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ