জেলাগুলোতে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : ইন্দিরা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘নারী উদ্যোক্তারা জয়িতা, অঙ্গনা, চারুলতা ও সোনারতরী ব্রান্ডে তাদের উৎপাদিত পন্য বিক্রি করছে। আরো আশিটি বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে এবং দেশের সকল জেলায় এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। ই-জয়িতা আনন্দ মেলা ও লাল সবুজ অনলাইন প্লাটফর্মেও  নারী উদ্যোক্তারা পন্য বিক্রি করছে’।

 

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘শহরের আধুনিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার  “আমার গ্রাম, আমার শহর” প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মুজিববর্ষে নির্মান করা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’। এর ফলে গ্রামের মানুষের আয় বৃদ্ধি পাবে ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গ্রামের মানুষের জীবন-যাত্রার মানের উন্নয়ন হবে’। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ‘স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির নেতৃবৃন্দদের বঙ্গবন্ধুর সমবায় সমিতির ভাবনার আলোকে গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান,।

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিসমুহের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘বিশ হাজার নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি নারীদের প্রশিক্ষণ, বাল্যবিয়ে-যৌতুক প্রতিরোধ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন নির্যাতন রোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির এলাকায় একটা বাল্য বিয়েও যেন না হয়, সেই লক্ষে কাজ করতে হবে। কোভিডে ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের পাশে দাড়াতে হবে’।

 

 

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষের এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সকল জেলা প্রশাসকগণ ও অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংযুক্ত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম বলেন,‘অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিষ্ময়। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে’।

 

অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আটটি বিভাগের দশজন জেলা প্রশাসক নারীর কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন, বাল্য বিয়ে রোধ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে তিনটি ক্যাটাগরিতে দেশের ৩,৫১৭টি নিবন্ধিতস্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে এগার কোটি তিরাশি লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করা  হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে ঢাকা জেলার নিবন্ধিতস্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির নেত্ররীবৃন্দের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন। জেলা প্রশাসকগণ স্বস্ব জেলার অনুদানের চেক সমিতির সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করেন।

এবিএন/জসিম/তোহা