আজকের শিরোনাম :

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ৫ দলের ১৪ অধিনায়ক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:১৯

নানা কারণে আলোচনায়-সমালোচনায় জর্জরিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলমান আসর। এবার নতুন করে আলোচনা চলছে টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব নিয়ে। কোন দলের অধিনায়ক কে? মাঠে নামার আগে যেন বলা মুশকিল। কোনো দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে নিয়মিত অধিনায়ক চোটে পড়ায়, কোনোটিতে আবার অক্রিকেটীয় কারণে।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেট থান্ডার, রাজশাহী রয়্যালস, রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের নেতৃত্বে বারবার পরিবর্তন আসে। শুধু মাত্র ঢাকা প্লাটুন আর খুলনা টাইগার্সে ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং মুশফিকুর রহীম। সিলেট পর্বের শেষ পর্যন্ত তথা টুর্নামেন্টের ৩৪তম ম্যাচ পর্যন্ত তারা দুই জনই স্ব স্ব দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এছাড়া বাকি পাঁচটি দলে ঘন ঘন অধিনায়ক বদলেছে—আজ সন্ধ্যার ম্যাচের আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পাঁচ দলে দেখা গেছে ১৪ অধিনায়ক!

বিপিএলের শুরু দিকে রংপুরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আফগানিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। চার ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। এরপর এক ম্যাচের জন্য দলের হাল ধরেন টম অ্যাবেল, যিনি দলেই নিয়মিত নন! গেল ২৭ ডিসেম্বর থেকে রংপুরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা শেন ওয়াটসন।

তিনবার অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্সও। টুর্নামেন্টের শুরুতে শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকাকে অধিনায়ক ঘোষণা করে দলটি। শানাকা ছয় ম্যাচ অধিনায়কত্ব করে দেশে ফিরে গেলে কুমিল্লার নেতৃত্বভার ওঠে ডেভিড ম্যালানের কাঁধে। ইংলিশ ওপেনার দুই ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর জরুরি ফিরে গেছেন দেশে। এতে কুমিল্লার পরের ম্যাচটি নেতৃত্ব দিয়েছেন সৌম্য। দলটির টেকনিক্যাল উপদেষ্টা মিনহাজুল আবেদিন বলছেন, ৬ জানুয়ারি ম্যালান ফিরে এলে সৌম্যর বদলে আবারও ইংলিশ ওপেনারকে কুমিল্লার অধিনায়ক করা হবে।

টুর্নামেন্ট থেকে সবার আগে ছিটকে পড়েছে সিলেট থান্ডার। জয় ছিল তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তবুও দলটি ভরসা রেখেছিল তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওপর। ৩০ ডিসেম্বর রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচে চোটে পড়ার পর সিলেটের নিয়মিত অধিনায়ক আছেন মাঠের বাইরে। এখন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফ্লেচার। নিয়মিত অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল চোটে পড়ায় রাজশাহী রয়্যালসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন শোয়েব মালিক।

দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সবার আগে প্রায় শেষ চার নিশ্চিত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটিরও অধিনায়কত্বে পরিবর্তন এসেছে সর্বোচ্চ চারবার। মাহমুদউল্লাহ চোটে পড়ায় প্রথম দুই ম্যাচে তাদের অধিনায়ক ছিল রায়াদ এমরিত। দুই ম্যাচ পরে মাহমুদউল্লাহ ফিরলেও নিয়মিত হতে পারেননি। আবারও তিনি চোটে পড়ায় চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় ইমরুল কায়েসের ওপর। ইমরুলও চোটে পড়লে মাঝে এক ম্যাচ অধিনায়কত্ব করেছেন নুরুল হাসান। আজ সিলেটে আবার চট্টগ্রামের অধিনায়কত্ব করেছেন ইমরুল।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ