আজকের শিরোনাম :

ফিলিস্তিনিদের কান্নার শব্দ মেসি-সুয়ারেজরা কি শুনতে পাবে?

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:৫৪ | আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০১:০৩

চলতি মাসের ১৮ তারিখ ইসরায়েলের তেল আবিবে প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। তবে মানবিক বিবেচনায় মেসি-সুয়ারেজদের ইসরায়েলে না যাওয়ার আকুতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ফুটবলভক্ত ও মানবধিকার কর্মীরা। মেসিদের প্রতি এসব ফুটবলভক্তদের অনুরোধ, ফিলিস্তিনিদের কান্নার শব্দ উপেক্ষা করে তারা যেন ইসরায়েলে খেলতে না যায়।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা চালায় ইসরায়েল। আর এ হামলায় ‘ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন ফিলিস্তিন’র অন্যতম শীর্ষ নেতা বাহা আবু আল-আত্তা নিহত হয়েছেন। জবাবে ফিলিস্তিনের এ সংগঠনটি ইসরায়েল ভূখণ্ডে ১৫০টি রকেট ছোঁড়ে। এতে তেল আবিবসহ বেশকয়েকটি শহরের কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অনেকেই আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তবে এখনো দুই দেশ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এর আগে, ২০১৮ সালেও তুমুল প্রতিবাদ ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে ইসরায়েল সফর বাতিল করে আর্জেন্টিনা। অনেকেরই ধারণা, আবারও মেসিরা একই পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যেই এ ম্যাচ নিয়ে সরব হয়েছে ফিলিস্তিনিদের সংগঠন প্যালেস্টিনিয়ান ক্যাম্পেইন ফর দ্য অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড কালচারাল বয়কট অব ইসলাম (পিএসিবিআই)। সংগঠনটির একজন কর্মী আলিয়া মালাক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মর্নিং স্টার’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, যখন ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছে, তখন এমন একটি ম্যাচ মাঠে গড়ালে তা সুন্দর খেলাটিকে নোংরা করে তুলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাকি বিশ্বের মতো আমরা ফিলিস্তিনিরাও ফুটবল ভালোবাসি। কিন্তু গত কয়েক যুগ ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর অবৈধ সামরিক দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তাদের জাতিবিদ্বেষী সরকার ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদদের ওপরও অত্যাচার চালিয়ে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করে যাচ্ছে। এই ইসরায়েলের মাটিতে দুই জনপ্রিয় দলের প্রীতি ম্যাচ খেলা ফিলিস্তিনের প্রতি চরম অপমান হবে।’

আলিয়া মালাক বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ক্রীড়া স্টেডিয়াম ধ্বংস করার পাশাপাশি এখানকার ক্রীড়াবিদদের আটক, শারীরিক অত্যাচার এবং হত্যা করছে ইসরায়েল। তারা (ইসরায়েল) ফিলিস্তিনি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে হামলা চালাচ্ছে এবং খেলার মাঠগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইসরায়েলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মানে ফিলিস্তিনিদের প্রতি যে অবিচার হচ্ছে তা বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করার প্রচেষ্টা’

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ