আজকের শিরোনাম :

অজেয় কিউইদের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে পাকিস্তান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ০৯:১১ | আপডেট : ২৬ জুন ২০১৯, ১০:৪৭

আজ বুধবার অপরাজিত কিউইদের বিপক্ষে এজবাস্টনের মাঠে নামছে পাকিস্তান। যেখানে কেন উইলিয়ামসনের দলের লক্ষ্য, সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। আর সরফরাজ আহমেদের দল চাইবে, সেই সেমির স্বপ্ন আবার রঙিন করে তুলতে।

ভারতের সঙ্গে ম্যাচটি শুধু ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। হ্যাঁ, এর মধ্যে অন্তত তিনটিতে হারতে পারত তারা। কিন্তু হারেনি তো। বরং ছয় ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সেমির দরজায় দাঁড়িয়ে দলটি। তা ঠেলে শুধু ভেতরে ঢোকার অপেক্ষা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচেই কি তা হবে?

প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই অনিশ্চয়তা অনেক বেশি। যদিও তাদের বিশ্বকাপ খুব ভালো কাটছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হেরেছে। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি। জয় শুধু ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সর্বশেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেই জয়ে সেমির বিবর্ণ স্বপ্নে আবার লেগেছে রং। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তা আরো উজ্জ্বল করে তোলার উপলক্ষ।

রেকর্ড বইয়ে তাকিয়ে পাকিস্তান প্রেরণা পেতে পারে। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আট মুখোমুখিতে ছয়বারই যে জিতেছে তারা। বিশ্বকাপে অন্তত পাঁচ ম্যাচ খেলেছে এমন প্রতিপক্ষের মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ২৫ শতাংশ জয়ের হারই সর্বনিম্ন। অন্যদিকে বিশ্বসেরা টুর্নামেন্টে অন্তত পাঁচ ম্যাচ খেলা প্রতিপক্ষের মধ্যে কিউইদের বিপক্ষে এই ৭৫ শতাংশ জয়ের হার পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই যদি হয় পাকিস্তানের প্রেরণা, তাহলে নিউজিল্যান্ডও তো খুঁজে নিতে পারে অমন কিছু। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের ৮০ শতাংশ জয়ের রেকর্ড কিংবা এজবাস্টনে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে পাকিস্তানের মাত্র এক জয়ের রেকর্ড থেকে উজ্জীবিত হতে পারে কিউইরা।

তবে চলতি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স কিংবা রেকর্ড বই দেখে পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সামর্থ্য বিচার করা যে ভুল, তা ভালো করেই জানে নিউজিল্যান্ড। কাল সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের কথাটি তাই মোটেও অবাক করে না, ‘পাকিস্তান খুব ভয়ংকর দল। ইংল্যান্ডে ওদের রেকর্ড ভালো, বছর দুয়েক আগে তো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই জিতল। আর দিন কয়েক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে দারুণ ম্যাচ। আমরা তাই ভালো ফর্মে থাকলেও পাকিস্তানকে হালকাভাবে নিচ্ছি না।’ অনুনমেয় ক্রিকেট চরিত্রের পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিকল্পনাটাও বলে দিয়েছেন তিনি, ‘পাকিস্তান ওদের সেরা ক্রিকেট খেলবে—সেটি ভেবেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এ বিশ্বকাপেই তো আমরা দেখেছি, কিভাবে ওরা ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়েছে; দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়েছে। ওরা খেললে দুর্দান্ত খেলে, তা থামানোর উপায় খুঁজতে হবে আমাদের।’

গত বছর দুটো সিরিজে মুখোমুখি হয় দল দুটো। জানুয়ারিতে নিজেদের মাঠের সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে জেতে নিউজিল্যান্ড। নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিরিজে একটা ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেসে যায়, বাকি দুই খেলায় একটা করে জয় দুই দলের। সাম্প্রতিক সময়ের মুখোমুখি লড়াইয়ে তাই এগিয়ে কিউইরা। আর বিশ্বকাপে তো রয়েছে দুরন্ত ফর্মে। প্রতিপক্ষের প্রশংসা করে তাই জয়ের পূর্বশর্তে নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাক করার তাগিদ পাকিস্তানের বোলিং কোচ আজহার মাহমুদের, ‘নিউজিল্যান্ড অবশ্যই খুব শক্তিশালী দল। এ বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ হারেনি যারা। আমরা চাইব ওদের বিপক্ষে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—বিভাগে যেন ভালো করি, ঠিক সর্বশেষ ম্যাচের মতো। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমাদের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ভালো হয়েছিল, তবে কিছু ক্যাচ ফেলেছি। যেদিন আমরা নিজেদের সব কাজ ঠিকঠাক করতে পারি, সেদিন পৃথিবীর যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রয়েছে আমাদের।’

এর সঙ্গে দ্বিমত করার লোক ক্রিকেটবিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পথে টুর্নামেন্টের শুরুটা যেমন, এবারও তেমন হওয়ায় আশাবাদী হতেই পারে পাকিস্তান। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তো তাদের মরণকামড়ই দেওয়ার কথা!

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ