আজকের শিরোনাম :

খুলনা টাইটানসের লক্ষ্য ১৯৩ রান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৪

ইনিংসের শুরুতে সুনিল নারিন-হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের তাণ্ডব, মাঝে সামাল দেবেন সাকিব আল হাসান, রনি তালুকদাররা আর শেষে ঝড় তুলবেন আন্দ্রে রাসেল, কিরন পোলার্ডরা। বিপিএলের এবারের আসরের দল গঠনের সময় ঢাকা ডায়নামাইটস স্কোয়াড দেখেই বোঝা গিয়েছিল তাদের এমন পরিকল্পনার কথা।

আসরের ঢাকার প্রথম দুই ম্যাচেও মিলল সে এটিরই প্রমাণ। প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে জাজাই-নারিনের ঝটো শুরুর পরে ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন শুভাগত হোম-রাসেলরা। ঢাকা পেয়েছিল ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ।

সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফের মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে এবারের আসরে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৯২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ঢাকা। আসরে নিজেদের প্রথম জয় পেতে খুলনাকে করতে হবে ১৯৩ রান।

টসে হেরে খুলনার অধিনায়কের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নামে ঢাকা ডায়নামাইটস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকেই শুরু হয় দুই ওপেনারের মারমুখী ব্যাটিং। তরুণ পেসার শরীফুল ইসলামের করা ওভার থেকে নারিন-জাজাই মিলে নেন ১৬ রান।

শুরুর কয়েক বল দেখেশুনে খেললেও খানিক পরই আবারও মিরপুরে দেখা দেয় ‘জাজাই ঝড়’। খুলনার বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ২৫ বলে ৩ চারের সাথে ৫টি বিশাল ছক্কার মারে আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পূরণ করেন জাজাই। আগের ম্যাচে নিজের হাফসেঞ্চুরি করতে জাজাই খেলেছিলেন ২২টি বল।

তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৯ ওভারেই দলীয় শতক পূরণ করে ঢাকা। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভার থেকেই জাজাই ৩ চার ও ২ ছক্কায় নেন ২৭ রান।

ইনিংসের নবম ওভারের পঞ্চম বলে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে মিডউইকেটের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কার মারে আসরের নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পূরণ করেছেন জাজাই। সে ছক্কার মারেই দলীয় শতকও পূরণ হয় ঢাকার। কিন্তু ফিফটির পর আর বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি।

ইনিংসের ১২তম ওভারে তুরুপের তাস হিসেবে অনিয়মিত স্পিনার পল স্টার্লিংয়ের হাতে বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। কাজে লেগে যায় সে চাল। ওভারের দ্বিতীয় বলেই জাজাইকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন স্টার্লিং। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৫৭ রান করেছেন জাজাই। তার আগে সুনিল নারিন ১৯ এবং রনি তালুকদার সাজঘরে ফিরে যান ১৭ বলে ২৮ রান করে।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বাজিটা আরও বেশি কার্যকর হিসেবে আবির্ভূত হয় যখন ঠিক পরের বলেই ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন স্টার্লিং। অফস্টাম্পের বাইরের বল কভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে যায় পয়েন্টে। গোল্ডেন ডাক সঙ্গী করে সাজঘরে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক।

এক ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ঢাকা। ৫ম উইকেটে জুটি বাঁধেন দুই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল এবং কিরন পোলার্ড। দুজন মিলে ৩৩ বলে যোগ করেন ৫৫ রান। কিন্তু ১৭তম ওভারের শেষ বলে পোলার্ড এবং ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে রাসেল আউট হয়ে ২০০ রান করার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ঢাকার।

আউট হওয়ার আগে ২টি করে চার-ছক্কার মারে ১৬ বলে ২৭ করেন পোলার্ড, ৩ ছক্কার মারে ২২ বল থেকে ২৫ রান আসে রাসেলের ব্যাট থেকে। শেষদিকে শুভাগত হোম ৭ বলে ১১ ও নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ৯ রান করলে ১৯২ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ