আজকের শিরোনাম :

মাহমুদউল্লাহ-মিথুনের ব্যাটে বড় লিডের পথে বাংলাদেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪৪

প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়েছে বাংলাদেশ, ২১৮ রান। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারলেই প্রতিপক্ষকে ছুড়ে দেওয়া সম্ভব হবে একটা বড় লক্ষ্য। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের কবলে পড়ে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একরকম দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ মিঠুনের দৃঢ়তায় বড় লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। 

চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭৮ রান। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেছেন মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ। লিড বর্তমানে ২৯৬ রানে। মিঠুন ৩৪ ও মাহমুদউল্লাহ ২৪ রান নিয়ে ব্যাট বিরতির পরে ব্যাট করতে নামবেন।

তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের সামনে সুযোগ ছিল টেস্ট দলে নিজেদের জায়গা পাকা করার। কিন্তু দুজনের কেউই নিতে চাইলেন না সে সুযোগ। সিরিজের দুই ম্যাচের ৪ ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন এ দুই ওপেনার।

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মুখ রক্ষা করা ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ব্যতীত বলার মতো আর কিছুই নেই এই জুটির ভাণ্ডারে। ব্যর্থতার ধারা বজায় রেখে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রানেই সাজঘরে ফিরে গেছেন লিটন ও ইমরুল। তাদের দেখাদেখি আউট হয়ে যান প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ার মুমিনুল হকও। ২১৮ রানের বিশাল লিড থাকা সত্ত্বেও চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ে যখন ২১৮ রানে পিছিয়ে, তখন থেকেই সবার মনে চলছে একটি প্রশ্ন চতুর্থ দিন সকালে কি করবে বাংলাদেশ? সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি তাইজুল ইসলাম দিতে পারেননি এ প্রশ্নের সদুত্তর। তাই অপেক্ষা করতে হয়েছে চতুর্থ দিন সকাল পর্যন্ত।

অবশেষে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর মিনিট ১৫ আগে দলীয় সুত্রে জানা যায় ২১৮ রানে এগিয়ে থাকলেও জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন করাবে না বাংলাদেশ। নিজেরাই ব্যাট করতে নামবে দ্বিতীয় ইনিংসে।

দলের পরিকল্পনা ছিল অনেকটা এরকম যে, চতুর্থ দিন সকালে দেড়-দুই সেশন ব্যাট করে সফরকারীদের সামনে বড়-সড় একটি লক্ষ্য ছুড়ে দেবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচের বাকি চার-সাড়ে চার সেশনে অলআউট করে ম্যাচ জিতে নেয়ার মাধ্যমে সমতায় সিরিজ শেষ করবে বাংলাদেশ।

কিন্তু এ পরিকল্পনায় শুরুতেই বাঁধ সাধেন জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জার্ভিস। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া জার্ভিস দ্বিতীয় ইনিংসে এক ওভারের মধ্যেই সাজঘরে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে।

২১৮ রানের বিশাল লিড সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে নেমেও যেন স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছিলেন না ইমরুল। শুরু থেকেই নড়বড় ব্যাটিং করতে করতে হুট করেই ইনিংসের পঞ্চম ওভারে খেলতে গেলেন বড় শট। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বলে স্কয়ার ড্রাইভ করে তিনি ধরা পড়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ফিল্ডারের হাতে। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৩ রান।

ইমরুল ফিরে যাওয়ার এক বল পরেই অগ্রজ ওপেনারের পথ ধরেন লিটনও। জার্ভিসের করা অফস্টাম্পের খানিক বাইরের বল লাইন বুঝে খেলতে না পারার মাশুল দিয়ে বোল্ড হয়ে যান লিটন। ১৪ বল খেলে ৪ রান করতে পেরেছেন তিনি।

এক ওভার পরেই ডোনাল্ড তিরিপানোর অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন মুমিনুল। মাত্র ৫ বলের ইনিংসে ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুমিনুল বাড়িয়ে দিয়ে যান বাংলাদেশের বিপদ।

প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে পড়েছিল তিন উইকেট। সেখান থেকে রেকর্ডগড়া জুটিতে দলকে রানপাহাড়ে বসিয়েছিলেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আর হয়নি এমন কিছু। ওপেনারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর এবার ব্যর্থ হন প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক মুমিনুল ও মুশফিক।

মুমিনুলের বিদায়ে মাত্র দশম ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। চাপ সামাল দেয়ার মিশনে মুশফিকও টেকেননি বেশিক্ষণ। দলীয় ২৫ রানের মাথায় তিনিও বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের উইকেট। প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের বিশাল লিড থাকা সত্বেও স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছিল না বাংলাদেশ।

অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল লেগসাইডে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগ ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। এক চারের মারে ১৯ বলে ৭ রান করেন তিনি।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ