আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশে এক সপ্তাহে সংক্রমণের হারে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২০, ২২:৩৭

বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহ ধরেই দেখা যাচ্ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হারে খুব বেশি একটা পরিবর্তন হচ্ছে না।

এ হার ১৪-১৫ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে, খুব একটা বাড়ছেও না বা কমছেও না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এ থেকে কোন সিদ্ধান্ত টানতে রাজি নন। তারা বলছেন, টানা ১৫ দিন ধরে যদি সংক্রমণের হার নিম্নগামী হয় - তাহলেই শুধু বলা যাবে যে অবস্থা স্থিতিশীল হচ্ছে।

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। ১৮ই মার্চ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩১৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৯৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশের দেহে করোনাভাইরাসে উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গত এক সপ্তাহ যাবত দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ১৪ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে দেখা গেছে সংক্রমণের হার তিন শতাংশ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ ধারা বজায় রয়েছে।

বাংলাদেশের সংক্রামক রোগ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর-এর অন্যতম উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সংক্রমণের হার ধীরে-ধীরে বাড়ছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কলকারখানা এবং দোকানপাট খুলে দেবার ক্ষেত্রে যে শৈথিল্য দেখা গেছে সে কারণে হয়তো সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে।

"এটার ফলাফল দেখতে আমাদের হয়তো সামনের সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। আমরা ঈদের নামে যেন কোন শৈথিল্য না দেখাই," বলছিলেন মি: হোসেন।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিদিন যাতে ১৫ হাজার টেস্ট করা যায়, সে লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে। এ মাসের মধ্যেই প্রতিদিন ১০ হাজার টেস্টের লক্ষ পূরণ করতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় টেস্টের এ সংখ্যা নগণ্য।

বাংলাদেশের একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড ১৯ সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা আবু জামিল ফয়সাল বলেন, গত এক সপ্তাহের চিত্র আপাত স্থিতিশীল মনে হলেও এর মাধ্যমে কিছুই বোঝা সম্ভব নয় ।

মি: ফয়সাল বলেন, "গত পাঁচদিনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এটা স্থিতিশীল আছে। এখন এটা কি বেড়ে যাবে? বাড়তেও পারে। পার্সেন্টেজটা দিয়ে খুব বেশি কিছু নির্ধারণ করা যাবে না।"

সংক্রমণের বর্তমান ধারা বজায় থাকলে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছুটা হলেও চেষ্টা করা যাবে।

অন্যথায় পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠতে পারে। যেমনটা বলছিলেন আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন।

"যদি এই সপ্তাহে আর একটা লাফ না দেয়, তাহলে শহরাঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আরে একটু বেশি সময় পাবো," বলেন মি: হোসেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সংক্রমণের হার টানা ১৫ দিন যদি নিম্নগামী হয় তাহলে বোঝা যাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশ নিচে নেমে আসতে হবে।


এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ