আজকের শিরোনাম :

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৮

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ পালন করেছে । দিনটি যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় ।

বাংলাদেশ হাইকমিশন এই প্রথমবারের মত মালায়শিয়ান ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো’র সাথে যৌথভাবে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশের মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন।  তিনি তাঁর বক্তব্যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, সৃজনশীলতা এবং বহুভাষিকতা রক্ষায় মাতৃভাষার গুরুত্বের উপর জোর দেন । এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন  করার জন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান ।

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার জনাব মোঃ গোলাম সারওয়ার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে ""ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ২১ ঋবনৎঁধৎু: ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গড়ঃযবৎ খধহমঁধমব উধু’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি সকালে হাই কমিশনার মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত করেন। অতঃপর হাই কমিশনার অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।

ভাষাশহীদদের বিদেহী আত্মার জন্য বিশেষ দোয়া পাঠ এবং এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।  এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয়।  এছাড়া অনুষ্ঠানে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমির উপর নির্মিত “গু ঞড়হমঁব” শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ সম্ভ্রম-হারানো মা-বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন যে, মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই আমাদের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল ।  তিনি বঙ্গবন্ধুর  স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনের জন্য সকলকে আরো কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।

এছাড়া, গত ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখে হাই কমিশন জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অফ লিবারেল আর্টস, টেলরস ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া এবং মিনিস্ট্রি অফ ট্যুরিজম, আর্টস এন্ড কালচার, মালয়েশিয়ার সাথে যৌথভাবে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে।
 

এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ