আজকের শিরোনাম :

বিএনপি নেতারা ঘরে বসে সরকারের দোষ ধরে: তথ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২০, ১৮:০৬

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র অনেক নেতা আছে, যারা ঘরের মধ্যে আইসোলেশনে থেকে শুধু প্রেস ব্রিফিং করে, আর সরকারের দোষ ধরে। জনগণের সহায়তায় তারা এগিয়ে আসেনি। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাই আছে মানুষের পাশে। 

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান ও বন্যহাতির আক্রমণে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সরকারের আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, যারা ঘরে বসে বসে শুধু সমালোচনা করছে, তারা কিন্তু ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ ও সরকারের কেউ কিন্তু বসে নেই। আক্রান্ত হলে কী হতে পারে সেটিও আমি জানি, তাই আমি নিজেও বসে নেই। সব প্রস্তুতি নিয়েই কিন্তু মাঠে কাজ করছি। এই সময়ে দেশের মানুষ যখন আক্রান্ত, তখন হাত গুটিয়ে বসে থাকার কোনো কারণ নেই।

দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার জন্য। আমরা নির্দেশনা মেনে জনগণের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। সেই কারণে আমাদের দলের বহু নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অনেক নেতা মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যু যেকোনো সময় হতে পারে, তাই বলে জনগণের এই দুর্দশার সময় বসে থাকব সেটা হতে পারে না। 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, যাতে খাদ্যের সঙ্কট না হয়, গরীব মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য নানাভাবে তিনি দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রমান্বয়ে দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলার সামর্থ্য এবং সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে তিন মাসের বেশি দুর্যোগে বাংলাদেশে আল্লাহর রহমতে খাদ্যের অভাব হয়নি। খাদ্যের অভাবে কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি। খাদ্যের জন্য কোনো জায়গায় হাহাকার নাই। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেহানুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, মুজিবুল হক হিরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে চিকিৎসা ব্যবস্থার খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার আরো উন্নতি ও আধুনিকায়নকল্পে নানা উদ্যোগের কথা জানান। 

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ