আজকের শিরোনাম :

কর্ণফুলী নদী আমাদের অহংকার-প্রাণ, এটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে : ভুমিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৩৬

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, কর্ণফুলী নদী আমাদের অহংকার, আমাদের প্রাণ, এটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর অভয় মিত্রঘাটে চ্যানেল আইয়ের ২১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে চ্যানেল আই-চট্টগ্রাম অফিস আয়োজিত ‘কর্ণফুলী নদী দখল-দূষণমুক্তসহ অবিলম্বে ক্যাপিটাল ড্রেজিং’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সবাই মিলে কর্ণফুলীকে রক্ষা করতে হবে। কর্ণফুলীর দুই পাড় থেকে শিল্পকারখানা সরাতে হবে এবং শিল্পকারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অব্যাহত দখলের পর কর্ণফুলী নদী এখন যে অবস্থায় আছে, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, এই নদীর আর কোনো ক্ষতি করার সুযোগ কাউকে দেওয়া যাবে না। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকের কাছে প্রত্যাশা এই নদীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তারা এগিয়ে আসবেন।’

এছাড়াও অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এমএ সালাম, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, হালদা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া, কর্ণফুলী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, আইবিএফবি’র সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব, স্থপতি আশিক ইমরান, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গোলটেবিল আলোচনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও কর্ণফুলী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোক্তা আলীউর রাহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান চৌধুরী ফরিদ।

ভুমিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাঝে সমন্বয়ের অভাব আছে, সবার সঙ্গে সবাই কথা বলে ধাপে ধাপে কাজ করলে সময় বাঁচবে, টাকা বাঁচবে। সিটি করপোরেশন বলেন সিডিএ বলেন, সবাই কিন্তু সরকারের টাকা খরচ করছে। আলটিমেটলি জনগণের টাকা যাচ্ছে। প্রপার সমন্বয় থাকলে শুধু কর্ণফুলী নয়, সাসটেইনেবল সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে পারবো।

তিনি বলেন, বিশ্বের মধ্যে একমাত্র গড গিফটেড পোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর। ২১’শ বছরের বেশি এ বন্দরের বয়স। কর্ণফুলী নদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে ঘিরে সরকারের অনেক পরিকল্পনা আছে। কর্ণফুলী নদী বন্দরের ব্যবহারের বিষয় আছে। কর্ণফুলীর বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বেশি। দখল ও দূষণ রোধ করা এবং এই নদীর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ বন্দরের প্রাণ হচ্ছে কর্ণফুলী নদী।

লাইটারেজ জাহাজের যত্রতত্র পার্কিং বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ভুমি মন্ত্রী বলেন, সাগরের সঙ্গে এ নদীর লিংক আছে। আমাদের বাণিজ্য বাড়ছে। লাইটারেজ জাহাজ বাড়ছে। আজ থেকে ১০ বছর আগেও এত জাহাজ ছিল না নদীতে। হতে পারে নিন্মচাপ সৃষ্টি হলে জাহাজ আসবে নদীতে। কিন্তু পার্কিংয়ের জন্য এ নদী নয়। নেভিগেশনে সমস্যা হচ্ছে। সিলট্রেশন হচ্ছে। দূষণ হচ্ছে। বন্দর চেয়ারম্যানকে বিষয়টি কড়াভাবে দেখতে হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডের সহযোগিতা নিতে বলেন মন্ত্রী।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কর্ণফুলী নদী আমাদের অস্তিত্ব। কর্ণফুলীকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে। কর্ণফুলী নদী কেন, কী কারণে, কী জন্য দূষণ হচ্ছে এটি কমবেশি সবাই জানি। সবাই বুঝি। সবাই যার যার অবস্থান থেকে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করলে দখল-দূষণ থেকে নদী রক্ষা পাবে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ