আজকের শিরোনাম :

এবার ভারতীয় পার্লামেন্ট ঘেরাওয়ের হুমকি কৃষকদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৪৭

ভারতে কৃষক আন্দোলন আরও বিস্তৃত হচ্ছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবার সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিল ও ঘেরাও করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে লক্ষাধিক ট্রাকটর মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।

বিশ্বের বৃহত্তম কৃষক বিক্ষোভের দিন হিসেবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিকে চোখ রাখছে আন্তর্জাতিক মহল। সারা ভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন সহ ৫০০টি কৃষক সংগঠন এবার কৃষি আইন তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের উপর আরও চাপ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ক্রান্তিকারী কিষান ইউনিয়নের নেতা দর্শন পাল সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সরকারকে কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। না হলে সংসদ ভবনের দিকে অভিযান শুরু হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই অভিযানের অংশ হিসেবে কৃষকরা দিল্লির চারদিক থেকে ঢুকতে শুরু করবে।

এ দিকে মঙ্গলবার কৃষক ট্রাকটর মিছিলে অংশ নিতে ইতোমধ্যে এক লাখ ট্রাকটর হাজির হয়েছে দিল্লির উপকণ্ঠে। প্রথামাফিক সেনা কুচকাওয়াজের পাশাপাশি দিল্লির চারদিকে আউটার রিং রোড ঘিরে হবে নজিরবিহীন ট্রাকটর মিছিল। ফলে সরকার প্রবল চাপের মধ্যেই রয়েছে বলা যায়।

দিল্লি পুলিশের অনুমতি নিয়েই এই ট্রাকটর মিছিল হবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষক নেতারা। সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা বলেছেন, কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। কোনো সমঝোতার রাস্তা নেই।

২৬ জানুয়ারি দিল্লির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষক মিছিল ও ট্রাকটর মিছিল হবে। ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে কৃষক অবস্থান। নাসিক থেকে মুম্বাই পর্যন্ত কৃষকদের বিরাট মিছিল পৌঁছে গেছে। কৃষক সভার আহ্বানে এই মিছিল মুম্বাইতে বিক্ষোভ করবে বলে জানানো হয়েছে।

আন্দোলনরত কৃষক নেতাদের দাবি, বাণিজ্যিক রাজধানীতে বিক্ষোভের রেশ ছড়াবে বিশ্ব জুড়ে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালাসহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকরা বিক্ষোভে অংশ নেন। একইভাবে গত ৬১ দিন ধরে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে আসা লাখ লাখ কৃষক কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে ঘেরাও করে আছেন।

এবারের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত বহু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সারা ভারত কৃষক সংঘ সমিতির যৌথ মঞ্চের কৃষক নেতাদের দাবি, আইন বাতিল না করে তারা বাড়ি ফিরবেন না। আন্দোলন আরও চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ