আজকের শিরোনাম :

মুদ্রণশিল্পের কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০১৯, ১১:০৮

বন্ডের অপব্যবহার রোধ এবং দেশীয় মুদ্রণ শিল্প বিকাশে এ শিল্পের কাঁচামাল ডুপ্লেক্স বোর্ড, কার্ড বোর্ড, সুইডিশ বোর্ড এবং ফোল্ডিং বোর্ড ইত্যাদি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এসব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়। তবে অর্থবিলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হ্রাস করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

গত শনিবার জাতীয় সংসদে অর্থবিল পাস হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সময় আয়কর ও ভ্যাট বিষয়ে কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেছিলেন, যা সংসদ সদস্যদের কন্ঠভোটে পাশ হয়।

মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামালের ওপর উচ্চ শুল্ক-কর প্রযোজ্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবনায় বলেন, অসাধু বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান এসকল পণ্য বন্ড সুবিধায় আমদানি করে স্থানীয় বাজারে কম মূল্যে বিক্রয় করার অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শুল্কহার কমানো হলে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার হ্রাস পাবে এবং বৈধ আমদানি বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া দেশীয় মুদ্রণ শিল্প সহায়তা পাবে।

মুদ্রণশিল্পের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল-দেশের মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ডুপ্লেক্স বোর্ড,আর্ট কার্ড, সুইডিশ বোর্ড, ফোল্ডিং বোর্ডের বিপুল চাহিদা থাকলেও এসব পণ্যের আমদানিতে উচ্চ শুল্কহার থাকায় বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল বলেন, মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বন্ডের যে অপব্যবহার হচ্ছে-শুল্কহার কমানোর ফলে সেটা দারুণভাবে হ্রাস পাবে। পাশাপাশি সরকারের বৈধ রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে তেমনি স্থানীয় মুদ্রণশিল্পের বিকাশ ঘটবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বন্ডের অপব্যবহার হোক এটা আমরা চাই না। আশা করি মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার কমানোর ফলে ব্যবসা ক্ষেত্রে আরও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে। যারা বন্ড সুবিধা পাচ্ছেন না, সেসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখন সহজে ব্যবসা করতে পারবেন। যা মুদ্রণশিল্প বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। 
খবর বাসস

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ