আজকের শিরোনাম :

সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে চলছে মাছ শিকার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ১৩:২৬

জুলাই-আগষ্ট দু’মাস পাশ পারমিট বন্ধ। তারপরও থামছে না সুন্দরবনের নদী খালে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার। এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ ঘন ফাঁসের ভেষালি জাল ব্যবহার করে বনের ভেতরের নদীখালে রিপকর্ড বিষ প্রয়োগ করে সাদা চিংড়ি সহ অন্যান্য প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছ শিকার করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে।

সূত্র জানায়, কয়রা এলাকার জোড়শিং, পাতাখালি, গোলখালি, আংটিহারা, খাসিটানা, বীনাপাানি, পাথরখালি, ৬নং কয়রা, মঠবাড়ি, তেতুলতলাচর, মহেশ্বরীপুর, খোড়লকাটি, শেখেরকোনা, কালিবাড়ি, বাবুরাবাদ, ফুলতলা, হড্ডা এলাকার শতাধিক জেলে পশ্চিম সুন্দরবনের গেওয়াখালি, ভোমরখালি, পাথকষ্টা, ঝপঝুপি, খড়খড়ি, খাসিটানা, হংসরাজ, আদাচাাকি, মার্কি, দুধমুখ, পিনমারা, চালকি, মোল্লাখালি, জোলাখালি সহ বনের ভেতরের অন্যান্য নদী খালে রাতের অন্ধকারেম রিপকর্ড বিষ প্রয়োগ করে ভেষালি জালে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছে।

ধৃত মণ মণ সাদা চিংড়ি রাতের শেষভাগে জোড়শিং, আংটিহারা ও মহেশ্বরীপুরের শেখেরকোনা, কালিবাড়ির ১৫টি খটিঘরে ২৫০ টাকা কেজি দরে বেচাবিক্রি শেষে ভোররাতে এ সকল অসাধু জেলে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে আবারো বনে ঢুকে পড়ছে। একই চিত্র প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যায় বলে এলাকার লোকজনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

মহেশ্বরীপুরের সিপিজির দুই সদস্যের মদদে কয়রা ও হায়াতখালি বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের সাথে আর্থিক চুক্তিতে ৩০/৪০টি জেলে বিষ প্রয়োগে ভেষালি জালে মাছ শিকার করছে মর্মে বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ও প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মহেশ্বরীপুর গ্রামের মৃত গওহর সরদারের পুত্র মোবারক সরদার।

এদিকে, গত ১০ জুলাই সুন্দরবনের গেওয়াখালি বন এলাকায় ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ জেলেচক্র বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সময় বনরক্ষীরা টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করলে ঐ জেলেচক্রটি বনরক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। মাত্র ৩ জন বনরক্ষী সেখানে উপস্থিত থাকায় অসাধু জেলে চক্রটি বনরক্ষীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জেলেদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে রেঞ্জ কর্মকর্তার দপ্তর জানিয়েছে।

এছাড়া জোড়শিং ও মহেশ্বরীপুর এলাকায় অবৈধ উপায়ে গড়ে ওঠা খটিঘরগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার রোধ করতে হলে বনের নিকটবর্তী খটিঘরগুলো উচ্ছেদের বিকল্প নেই।     

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জ সহকারী শাহান শাহ নওশাদ বলেন, গত দু’দিনে বনের ভেতর অভিযান চালিয়ে বিষ প্রয়োগ করে অবৈধ উপায়ে মাছ ও কাঁকড়া ধরার অপরাধে ১৬ জনকে আটক করে আইনে সোপর্দ করা হয়েছে।

এবিএন/শাহীন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ