আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে অধিক পুষ্টি ও জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭২’র বাম্পার ফলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:০৬

ক্যান্সার, ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুন ও জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭২ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য ধানের থেকে কম সময়ে ধান উৎপাদন, অধিক ফলন এবং পুষ্টিগুন থাকায় দিন দিন এই ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ফরিদপুর অঞ্চলে। আর কৃষি বিভাগ বলছে জিস্ক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭২ চাষে চাষিদের প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগিতা করা হয়। আর ব্রিধান ৭২চাষে চাষিদের সার ও বীজসহ সবধরনের সহযোগিতা করছেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ ও এসডিসি।

ফরিদপুর জেলায় চলতি আমন মৌসুমে জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭২ এর ব্যাপক আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। বাজারে এ ধানের চালের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। ক্যান্সার, ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ প্রতিরোধী জিস্ক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭২ এ নারী ও শিশুদের সরাসরি বিশেষ চাহিদা মেটাতেও সক্ষম। অতি অল্প সময়ে ধান কেটে একই জমিতে রবি ফসল ও উৎপাদন করা সম্ভব। ফলে চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছে। আর সেই কারনে ফরিদপুর জেলা জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭২ এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চালের ভাত সুস্বাধু এবং পুষ্টিকর। ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলাতেই কম-বেশী ব্রিধান ৭২ এর আবাদ হয়ছে।


অন্যান্য ধান উৎপাদন করতে সময় লাগে ১৫৫ দিন থেকে ১৬০দিন। আর ব্রিধান ৭২ বীজতলায় বীজ বপন থেকে ধান কাটা পর্যন্ত সময় লাগে ১২০ থেকে ১২৫দিন। আর প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ থেকে ৩০মন ধান উৎপাদন করা সম্ভব। চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় ১হাজার চাষিকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ এসডিসি ও হারভেস্টপ্লাষ্ট বাংলাদেশ। এদিকে সদর উপজেলার বাখুন্ডায় ব্রিধান ৭২ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হারভেস্টপ্লাষ্ট বাংলাদেশ জাহিদ হোসোইন, এসডিসির বিপ্লব মহলদার ও স্থাণীয় কৃষক ও কৃষানীরা।


চাষিরা জানায়, আমরা এবছর ব্রিধান ৭২ চাষ করেছি। অন্যাণ্য ধানের তুলনায় ফলন বেশী। এই ধান চাষ করে আমরা লাভবান হয়েছি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হারভেস্টপ্লাষ্ট বাংলাদেশ জাহিদ হোসোইন বলেন, ব্রিধান ৭২চাষের সম্প্রসারণ এর জন্য আমরা চাষ করছি। আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করছি। আমরা মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে কজ করছি।

মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রতাপ মন্ডল বলেন, এই ধানের চাল খেলে দেখা যায়যে আমাদের ডায়াবেটিকস, ক্যান্সার এগুরো প্রতিরোধি হবে। আমরা যদি প্রথম থেকে এই ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল খেতে পারি তাহলে আমাদের ডায়াবেটিকস হবে না, ক্যান্সার হবে না।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছর প্রায় এক হাজার হেক্টোর জমিতে জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭২ এর চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, কৃষি মন্ত্রনালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার উৎপাদনে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমাদের বিজ্হানীরা যে সমস্থ জাত গুলো আবিস্কার করেছেন। বিশেষ করে জিংক সমৃদ্ধসেগুলো উচ্চ ফলনশীল আবার জিংক সমৃদ্ধ হওয়ার কারনে এটা পুষ্টি নিরাপত্তায় ব্যপক ভূমিকা পালন করছে। ব্রিধান ৭২এটিতে উৎপাদন অনেক ও প্রচুর পরিমানে জিংক রয়েছে। সকলের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। উৎপাদন বৃদ্ধি ও পুষ্টি নিরাপত্তার কথা ভেবে ফরিদপুর জেলাতে ব্রিধান ৭২ চাষে চাষিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।


এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ