আজকের শিরোনাম :

গলাচিপায় বিএডিসির ধানের বীজ বিক্রয়ের সময় গ্রেফতার ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০১৮, ১৬:১১

পটুয়াখালী, ২৪ জুন, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আমন ধানের বীজ কৃষকদের পরিবর্তে অধিক মূল্যে কালোবাজারে বিক্রির সময়ে গত শুক্রবার প্রশাসনের অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছে কথিত এক ডিলার ও এক কর্মচারী। এসময় ১৪৮ বস্তা বীজ জব্দ করা হয়েছে।

আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌসিফ আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলা সদরের থানা সংলগ্ন ওয়াপদা সড়কের ওপর কথিত ডিলার মজিবর রহমান তার দোকানে বিএডিসির আমন ধানের বীজ মজুদ করে কালোবাজারে বিক্রি করছে, গোপন সূত্রে পাওয়া এমন খবরের ভিত্তিতে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ মনিরুজ্জামানসহ কোস্টগার্ড সদস্যদের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌসিফ আহমেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান পরিচালনাকারীরা দোকান থেকে ১২৭ বস্তা ও পাচারকালে একটি নৌকা থেকে ২১ বস্তা আমন ধানের বীজ জব্দ করেন। অভিযানস্থল থেকে দোকান মালিক মজিবর রহমান ও কর্মচারী হুমায়ুনকে আটক করে তাৎক্ষণিক পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জব্দ ধানের বস্তাও পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা রেকর্ড করেছে এবং আটককৃতদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি বস্তায় ১০ কেজি আমন ধানের বীজ রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসির ১০ কেজি ওজনের আমন ধানের বীজ নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের কাছে ৫৪০ টাকায় বিক্রয়ের নির্দেশনা রয়েছে। বিএডিসি যা ডিলারদের ৪৭০ টাকায় সরবরাহ করে।

কিন্তু বিএডিসির এক শ্রেণীর অসাধু কর্মচারী গোপনে কথিত ডিলারদের সঙ্গে আতাতের মাধ্যমে আমন ধানের বীজ আরও বেশি দামে বিক্রি করে। আর অসাধু ডিলাররা তা আরও কয়েকগুণ বেশি দামে কৃষকদের কাছে বিক্রি করে। মাঝে মধ্যে ডিলাররা বীজের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেও মুনাফা লোটে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল মান্নান জানান, মজিবর রহমান নামে গলাচিপা উপজেলায় বিএডিসির বীজের কোন ডিলার নেই। মজিবর রহমান কি ভাবে বিএডিসির বীজ সংগ্রহ, মজুদ ও বিক্রি করছে, সে বিষয়ে তার কোন ধারণা নেই। তারপরেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

এবিএন/ জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ