আজকের শিরোনাম :

বগুড়ায় বন্দুক যুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী স্বর্গ নিহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪১ | আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৯

বগুড়ায় দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে বগুড়ার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী স্বর্গ (২২) নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের উপশহর-ধরমপুর সংযোগকারী ধুন্দল ব্রিজের দক্ষিণ পশ্চিম পার্শ্বে সুবিল খালপাড়ে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত স্বর্গ বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগর এলাকার মৃত লিয়াকতের ছেলে। লিয়াকত ছিল বগুড়া শহরে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন, সে পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিল। ২০০৬ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে লিয়াকত নিহত হয়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্বর্গ নিহত হওয়ার খবর জানাজানি হলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ধুন্দল ব্রীজ এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল একটি ম্যাগাজিন এক রাউন্ড গুলি এবং একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান তাকে উদ্ধার করে টহল পুলিশের গাড়িতে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে উপস্থিত লোকজন তাকে ঠনঠনিয়া শহীদ নগর (খান্দার) এলাকার "স্বর্গ" হিসেবে সনাক্ত করেন।

সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, স্বর্গ’র পিতা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী লিয়াকত ২০০৬ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায় নিহত স্বর্গের নামে সদর এবং শাজাহানপুর থানায় খুন, চাঁদাবাজি অস্ত্র আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে শাজাহানপুরের জামাদারপুকুর এবং শহরের খান্দার মালগ্রাম এলাকায় সে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

উল্লেখ্য, কিশোর বয়সেই স্বর্গ দুর্ধষ সন্ত্রাসী হিসেবে বগুড়া শহরে পরিচিত হয়ে উঠে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে স্বর্গ দুইটি খুনের সাথে জড়িত হয়। একপর্যায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর গত তিনমাস আগে জামিনে মুক্তি পায়। এরপর চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।

 এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ