আজকের শিরোনাম :

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০১৯, ১১:৩০

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাগল চারণভূমিতে পারিণত হয়েছে। কমপ্লেক্স ভবনের অভ্যন্তরসহ যত্রতত্র ছাগলের বিষ্টা ও ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেন আস্তাকুড়ের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই এ অস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কমপ্লেক্স অভ্যন্তরে কর্মচারিরাই ছাগল সহ হাঁস-মুরগী পালন করছে। যেন দেখার কেউ নেই।

এদিকে জনবলের অভাবে যশোরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। শার্শা উপজেলা ও পার্শবর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটি। যার চিকিৎসকের ২২টি পদের মধ্যে ১৭টিই শূন্য। আরো ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর ৩৫পদ শুন্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা সহ অফিসিয়াল কার্যাদী।

স¤প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৩১-৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০ রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু জনবলের অভাবে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না তারা।

গতকাল (৯মার্চ) শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সরেজমিনে হাসপাতাল অভ্যন্তরে গিয়ে প্রথমে চোখে পড়ে গিয়ে, যত্রতত্র ছাগলের বিষ্টা ও ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কমপ্লেক্সের বারান্দায়ও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। একই সাথে ধুলায় যেন একাকার।

স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের এক কর্মচারী জানান, হাসপাতাল অভ্যন্তরের পরিবেশটি নষ্টের মুলে রয়েছে সুইপার শেফালী। সে এ স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে যোগদানের পর থেকে ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীদের এক দ্বীতল ভবন দখল করে ১২ সদস্যের একটি পরিবার সেখানে বসবাস করছেন। এর মধ্যে রয়েছে সুইপার শেফালীর ২পুত্র, ২পুত্রবধু, ২মেয়ে ও তাদের সন্তানেরা। যদিও শেফালীর স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের বাইরে ব্যবসায় জড়ীয়ে রয়েছে। ঐ পরিবারে রয়েছে ১ডজনেরও বেশি ছাগল। যে গুলো সর্ব সময় স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের অভ্যন্তরে বিচরন করে থাকে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে বড় বাবু আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে এখানে যোগদানের পর থেকে সুইপার শেফালী এখানে ছাগল পালন করে আসছে। তাকে বারবার নিষেধ করা সত্তেও কথা শোনেন না। তিনি আরো একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, পরিবারে সকল সদস্যদের নিয়ে স্বাস্থ্য কমপে-ক্সের অভ্যন্তরে থাকার কোন বিধি নেই।

অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা বলেন, তাকে বারবার নিষেধ করা সত্তেও কেন যে স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের অভ্যন্তরে ছাগল পালন করছে তা বুঝতে পারছি না। আজ আবারো তাকে বলব ছাগল সরাতে। তিনি আরো একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, সুইপার শেফালীর বসবাস রত ভবনটিতে সরকারী কোন বিধি অনুযায়ী থাকেন না বা তিনি ভবনের ভাড়াও দেন না এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এবিএন/ইয়ানূর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ