আজকের শিরোনাম :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় যেন গোয়াল ঘর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২৭

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন খালি পড়ে আছে। চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের পরিবেশ। ইতিমধ্যে ১২ তারিখে নির্ধারীত ক্লাস রুটিন অনুযায়ী  পাঠাদানের জন্য পরিপত্র জারি করেছেন।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রাজারচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের  বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। তাদের বিষ্ঠায় কালো প্রলেপ পড়েছে পাকা মেঝেতে। দীর্ঘদিন মানুষের পা না পড়ায় এমন দশা হয়েছে ওই স্কুলের। ৪১ নং রাজারচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে নিচতলায় স্থানীয়দের ধানের খড়ের পালা গাদা রয়েছে। রাখা হয়েছে পাটশলা, বাদাম গাছ, বাশঁ, বস্তায় ভরা গো শালা, তাল গাছের পাতা, কাঠের টুকরোসহ ময়লা আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রী নয় এলাকার লোকজনের নানা কাজে মুখরিত থাকে বিদ্যালয়টি।

উপজেলার ৪১ নং রাজারচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচ তলায় বেশ কয়েকটি গরুর বেধে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাসিন্দারা। এ যেন এক গোয়াল ঘর গরু, ছাগলের দখলে। চারদীকে সীমানা প্রাচীর নেই বলে স্থানীয়দের দাবী এরকম করার সুুযোগ পেয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পদচারণা নেই। পাঠদান কার্যক্রম বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ রয়েছে খেলাধুলাও। এই কারণে প্রভাবশালীরা সুযোগ নিয়ে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গোচারণভূমি ও চাতাল হিসাবে ব্যবহার শুরু করেছেন। ১৭ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। খোলার আগে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হবে।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ৪১ নং রাজারচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহেতুন নেছা গ্লোরী বলেন, অনেক বার পরিষ্কার করেছি কিন্তু পরিষ্কার পরের দিন আবার ময়লা করে ফেলে। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও কথা মানছেন না। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।


উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৪১ নং রাজারচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: আলী আযম হাওলাদার জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই অবস্থা হয়েছে। আমি অনেকবার বলেছি পরিষ্কার করার জন্য। কিন্তু আমার কথা আমলে নিচ্ছে না। স্কুল খোলার আগেই সব পরিস্কার করে দেয়া হবে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্ব স্ব বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারপরও কেউ বিষয়টি অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বিষয়টি জানার পরে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।


এবিএন/দেলোয়ার হোসাইন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ