আজকের শিরোনাম :

চকরিয়ায় কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতার বাড়িতে টাস্কফোর্সের অভিযান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৫৩

মাদকের বিস্তার রোধে কক্সবাজারের একটি টাস্কফোর্স টিম চকরিয়ায় প্রায় ৮ ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়েছে।  অভিযানকালে চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর রেজাউল করিম ও পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেলের বাড়িয়ে তল্লাশি চালানো হয়।  তবে তাদের বাড়িতে কোন মাদকদ্রব্য মেলেনি।  উপজেলার খুটাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ পিস ইয়াবা পাওয়ায় এক নারীকে ৬ মাস ও ৪০ পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়ায় অপর এক পুরুষকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে টাস্কফোর্সের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.খোরশেদ আলম চৌধুরী।  

টাস্কফোর্স টিম কক্সবাজার জেলা শহর থেকে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় আসার পথে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের এক নারীসহ দুই ইয়াবা কারবারিকে ইয়াবাসহ আটক করে।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটকের পর তাদের হেফাজত থেকে ইয়াবা পাওয়ায় সাজা প্রদান করা হয়।   

কারাদন্ড দেওয়া দুই ইয়াবা কারবারি হলেন-উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পাড়ার মৃত মৌলভী মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে মৌলভী মোক্তার আহমদ (৪২)। এ সময় তার হেফাজত থেকে ৪০ পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়ার পর দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়াও একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ার নূর মোহাম্মদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আসমাউল হোসনা (২০)  নামের এক নারীকে। তার ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেলে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) আবদুল মালেক তালুকদার।  তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য ছিলেন।  এ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে টাস্কফোর্স স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর আবদুল মালেক তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে অভিযান চালানো হয় চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক রেজাউল করিমের বাড়িতে।  এরপর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ আবাসিক এলাকাস্থ চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেলের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তবে দুইজনের বাড়িতে কোন মাদকদ্রব্য না পেলেও তাদের গতি প্রকৃতি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তদের মধ্যে চকরিয়ার দুইজনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তাদের বাড়িতে অবৈধ কিছু পাওয়া না গেলেও তাদের আলীশান অট্টালিকা দেখে আমরা তাদের আয়ের উৎসসহ নানা বিষয়ে জানতে চাইলে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি তারা।  

এদিকে, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল বলেন, টাস্কফোর্স টিম আমার বাড়ি তল্লাশি করে কোন অবৈধ কিছু বা মাদক পায়নি। আমার নাম মাদক কারবারির তালিকায় রয়েছে কেন এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে কেন জানতে চায়। এসময় আমি বলি কোন ধরনের মাদক ব্যবসার সাথে আমি জড়িত নই। সুষ্ট তদন্ত করলে আমি নিরাপরাধ তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

অপরদিকে, অভিযানের ব্যাপারে চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, সকালে টাস্কফোর্সের একটি টিম আমার বাসভবনে এসে বাড়ি তল্লাশি করা হবে বলে জানায়। এসময় আমার উপস্থিতিতেই পুরো বাড়ি তল্লাশি করে অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে তারা চলে যান।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ