আজকের শিরোনাম :

মিথ্যা মামলা থেকে আ’লীগ নেতার মুক্তির দাবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৯:২৬

লালপুর (নাটোর), ১০ আগস্ট, এবিনিউজ : নাটোরের লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও লালপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি ফিরোজ আল হক ভূঁইয়া এর নামে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা দলিল লেখক সমিতি।

আজ শুক্রবার (১০ আগস্ট) লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে ঘোষনা দেয়া হয়েছে, দলিল লেখক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি ফিরোজ আল হক ভূঁইয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত দলিল লেখকদের কর্মবিরতি চলবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) রাত ৩ টার দিকে  লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য ও লালপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি ফিরোজ আল হক ভূঁইয়াকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

যে মামলায় উনাকে আটক করা হয়েছে উক্ত মামলাটি লালপুর থানায় রুজু করা হয় গত বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) রাতের দিকে। কোনো প্রকার তদন্ত বা সত্যতা যাচাই ছাড়াই মাত্র আড়াই ঘন্টার মধ্যে সে মামলায় আটক দেখানো হয় তাকে। আলমগীর হোসেন মিঠু নামে এক ব্যক্তি ফিরোজ আল হক ভূইয়ার নামে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র মূলক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মান ক্ষুন্ন করার জন্য লালপুর থানায় চাঁদাবাজির এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী আলমগীর হোসেন মিঠু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যাবসায়ী, মাদকসেবী, চাঁদাবাজ এবং বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত। শুধু তাই নয়, সে গত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নে নৌকা প্রতিক ভেঙ্গে ছিল। এমনকি মামলার বাদী আলমগীর হোসেন মিঠু এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেফালির ভাই আজাদ মীরগঞ্জ থেকে ফেন্সিডিল নিয়ে আসার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ফেন্সিডিলের কাঁচ বিধে আজাদের মৃত্যু হয়েছিল এবং এই মিঠু আহত হয়েছিল।


মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি করার প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলমগীর হোসেন মিঠু’র পিতা আক্কাছ আলী দলিল লেখক সমিতির একজন সদস্য। অথচ মিঠু সমিতির সদস্য না হয়েও সমিতির কাছ থেকে এবং বিভিন্ন সদস্যদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ আগষ্ট দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হিসাবে ফিরোজ আল হক ভূইয়াসহ তারা আলমগীর হোসেন মিঠুকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বাক বিতন্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে আলমগীর হোসেন মিঠু সেখান থেকে চলে যায় এবং গত ৯ আগস্ট ফিরোজ আল হক ভূইয়ার নামে উল্টো লালপুর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করে।

অবিলম্বে এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবী আলমগীর হোসেন মিঠুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ও মিথ্যা মামলা থেকে ফিরোজ আল হক ভূইয়াকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি করা হয়।

এবিএন/মোয়াজ্জেম হোসেন/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ