আজকের শিরোনাম :

রবীন্দ্রনাথের ৭৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ১০:২৩

আজ ২২ শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মহাকালের চেনা পথ ধরে প্রতিবছর ২২শে শ্রাবণ আসে। এই ২২শে শ্রাবণ বিশ্বব্যাপী রবিভক্তদের কাছে এদিনটি শোকের, শূন্যতার। রবীন্দ্র কাব্যসাহিত্যের বিশাল একটি অংশে যে পরমার্থের সন্ধান করেছিলেন সেই পরমার্থের সাথে তিনি লীন হয়েছিলেন এদিন।

রবীন্দ্রকাব্যে মৃত্যু এসেছে বিভিন্নভাবে। জীবদ্দশায় মৃত্যুকে তিনি জয় করেছেন বারবার। মৃত্যুবন্ধনা করেছেন তিনি এভাবেÑ ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। মেঘবরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট! রক্ত কমলকর, রক্ত-অধরপুট, তাপ বিমোচন করুণ কোর তব মৃত্যু-অমৃত করে দান॥’

রবীন্দ্রনাথ ঠকুরের ৭৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলা একাডেমি এ উপলক্ষে আগামীকাল। বিকাল ৪টায় শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে সেমিনারের আয়োজন করেছে। এতে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করবেন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ড. আানিসুজ্জামান।

বাাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নাটক প্রচার করবে। এছাড়াও বিশ্বকবির প্রয়ান দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

জীবনের শেষ নববর্ষের সময় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর সাধের শান্তিনিকেতনে। সেদিন তাঁর কলমে রচিত হয়েছিল ‘সভ্যতার সংকট’ নামের অমূল্য লেখাটি। তারও ক’দিন পর ১৯৪১ সালেরই ১৩ মে লিখে রাখলেন, রোগশয্যায় শুয়েই ‘আমারই জন্মদিন মাঝে আমি হারা’।

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের শেষ দিনগুলোতে কখনও তিনি শয্যাশায়ী, কখনও মন্দের ভাল। শেষের দিকে ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই, শান্তিনিকেতনের আশ্রম বালক-বালিকাদের ভোরের সঙ্গীত অর্ঘ তিনি গ্রহণ করেন তাঁর উদয়ন গৃহের পূবের জানলার কাছে বসে। উদয়নের প্রবেশদ্বার থেকে ছেলেমেয়েরা গেয়ে উঠেন কবিরই লেখা ‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার, আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হল আজ’।

আগস্টের প্রথম দিন দুপুরবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথের হিক্কা শুরু হয়। কবি কাতর স্বরে তখন উপস্থিত সবাইকে বলেছিলেন, ‘একটা কিছু করো, দেখতে পাচ্ছো না কী রকম কষ্ট পাচ্ছি।’ পরের দিন হিক্কা থামানোর জন্য ময়ূরের পালক পুড়িয়ে খাওয়ানো হলেও তাতে কিছুমাত্র লাঘব হল না। অগস্টের ৩ তারিখ থেকে কিডনিও নিঃসাড় হয়ে পড়ে। ৬ অগস্ট রাখিপূর্ণিমার দিন কবিকে পূবদিকে মাথা করে শোয়ানো হল। পরদিন ২২শে শ্রাবণ, ৭ আগস্ট রবীন্দ্রনাথের কানের কাছে জপ করা হলো ব্রাহ্মমন্ত্র ‘শান্তম, শিবম, অদ্বৈতমৃ’ ‘ৃতমসো মা জ্যোতির্গময়ৃ’।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন মৃত্যুপথযাত্রী। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঘড়িতে তখন ২২শে শ্রাবণের বেলা ১২টা বেজে ১০ মিনিট। কবি চলে গেলেন অমৃতআলোকে।
খবর বাসস

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ