আজকের শিরোনাম :

প্রধানমন্ত্রীর কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০১৯, ২০:০১

আজ ১১ জুন মঙ্গলবার জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জোটের গুলশানস্থ কার্যালয়ে জোটের সভাপতি, সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, চিত্রনায়িকা রোজিনা, রোকেয়া প্রাচী, অরুনা বিশ্বাস, তানভিন সুইটি, দিনাত জাহান মুন্নি, চিত্রনায়িকা শাহনুর, কবি রবীন্দ্র গোপ, কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, কন্ঠশিল্পী এস.ডি রুবেল, জেনিফার ফেরদৌস, সাবরিন সাকা মীম, আব্দুল মতিন প্রধান, বৃষ্টি রানী সরকার, মোত্তাছিম বিল্লাহ, হাবিবুল্লাহ রিপন প্রমুখ।

সভাপতির ভাষণে সারাহ বেগম কবরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আলোতেই আমরা সবাই আলোকিত। শেখ হাসিনা হচ্ছেন আলোর বর্তীকা। বাঙালি জাতির যা কিছু অর্জন সব অর্জনই আওয়ামী লীগের অবদান। ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাঙালি জাতি যখন অন্ধকারের দিকে যাচ্ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল বাঙালি জাতি।

আজ বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে তিনিই রূপান্তরিত করেছেন। সারা পৃথিবীতে বাঙালি জাতি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন, উন্নয়ন সবকিছুই করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। জননেত্রী শেখ হাসিনাই হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক।

সারাহ বেগম কবরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আমরা দুঃসময়ে দুর্দিনে গঠন করেছিলাম। তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ছিলেন না। তখন আমরা ছিলাম অসহায়। ৪১ বছর ধরে এই সংগঠনটি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্মারা এখনো রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কাউয়া আর ব্রয়লার মুরগী, নব্য আওয়ামী লীগার এত হয়েছে যে তাদের দ্বারা কখনো দলের মঙ্গল হবে না। নতুন নতুন দোকান খুলে তারা নতুন নতুন বঙ্গবন্ধু প্রেমিক ও আওয়ামী প্রেমিক সাজার চেস্টা করছে। এদের সম্পর্কে দলের নেতা ও মন্ত্রীদের সজাগ থাকতে হবে। এরা যেন দলের কোন ক্ষতি না করতে পারে, নেত্রীর কোন ক্ষতি না করতে পারে। কারন এদের দ্বারা দল উপকৃত হবে না, বরঞ্চ দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ