আজকের শিরোনাম :

২০২১ সালের মধ্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হবে ৯০ শতাংশ নাগরিক: পলক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২০, ১৮:৩৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ নাগরিককে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করার পাশাপাশি  গুরুত্বপূর্ণ সেবার ৯০ শতাংশই ডিজিটাল মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। একইসময়ে আইটি ও আইটিইএস খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা আয় হবে।

বুধবার (৮ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন, জাপান হেডকোয়ার্টারের উদ্যোগে আয়োজিত‌ ফুডফর নেশন এর অধীনে ডিজিটাল মার্কেট প্লেস তৈরি এবং কভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোগ বিষয়ে আয়োজিত বিশেষ ভার্চুয়াল টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) মহাসচিব ড. একেপি মোস্তান ভার্চুয়াল টকশোতে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী কাছে বিস্তারিত জানতে চান।

কোভিড-১৯ সময়ে জনগণের সচেতনতা ও সেবায় নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস সময়ে আমরা অনেক শিক্ষা নিয়েছি। কোভিড পরিবর্তী সময়ের জন্য ইতোমধ্যেই একটি আইসিটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে নাগরিক সেবায় নতুনত্ব সংযোজন; আইসিটি খাতে স্টার্টআপ গড়ে তোলা; স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষা এবং সাপ্লাইচেইনের ডিজিাটল রূপান্তর; সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং বেসরকারি খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ, স্থানীয় উৎপাদন ও জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।      

পলক বলেন, সব নাগরিকের জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা, মানবসম্পদ, প্রথাগত অর্থনীতিকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তরে প্রযুক্তিখাতের উন্নয়ন এবং নাগরিকদের ডিজিটাল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতির উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের সংশ্লিষ্ট করে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তরুণরা যেন চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরাই কর্মসংস্থান তৈরি করে সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরামর্শে এই এসকল কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

এরপর প্রতিমন্ত্রী পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে কোভিড-১৯ সময়ে ডিজিটাল মার্কেট প্লেসের মাধ্যমে কৃষকদের কীভাবে সহায়তা করা হচ্ছে সে বিষয়টি তুলে ধরেন।

কৃষকের হাসিই দেশের সমৃদ্ধি উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এ জন্যই আমারা গত মে মাসে দেশের জন্য উন্মুক্ত ডিজিটাল বাজার ‘ফুড ফর নেশন’ তৈরি করেছি। কেননা দেশের ৪১ শতাংশ মানুষই কৃষির সঙ্গে জড়িত। কৃষক, বিপণনকারী, পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতাদের এবং গ্রাহকদের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেশব্যাপী পণ্যের মূল্য এবং মানের যাচাই করার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশের প্রথম উন্মুক্ত কৃষি পণ্য প্ল্যাটফর্মটি।

এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) মহাসচিব ড. একেপি মোস্তান বলেন, দ্রুততম সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের অন্যতম একটি দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক পূর্বাভাস বলছে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দ্রুততম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে জনঘনত্বে অষ্টম বৃহত্তম এই দেশটি।

২০২৫ সালের মধ্যে গ্লোবাল ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম মার্কেটের আকার ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ