কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি নিয়ে চ্যাটজিপিটির প্রধান যা বললেন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩, ০৯:৪২

চ্যাটজিপিটি প্রস্তুতকারক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই এর সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, সরকারি হস্তক্ষেপ ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী এআই সিস্টেমের ঝুঁকি হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সাক্ষ্য দেন তিনি। সিনেটের শুনানিতে স্যাম অল্টম্যান বলেন, 'এই প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আমরা বুঝতে পারছি, এটি কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে পরিবর্তন করতে পারে তা নিয়ে লোকেরা উদ্বিগ্ন, আমরাও।' খবর বিবিসির
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক স্টার্টআপ গত বছরের শেষের দিকে চ্যাটজিপিটি প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চ্যাট জিপিটি বিনামূল্যে দেয়া চ্যাটবট সরঞ্জাম, যা বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মতো প্রতিক্রিয়াসহ প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।
হোমওয়ার্ক অ্যাসাইনমেন্টে প্রতারণা করার জন্য চ্যাটজিপিটির ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষাবিদদের প্রথমে আতঙ্ক শুরু হয়। এরপর তা মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মিথ্যা প্রচার, কপিরাইট সুরক্ষা লঙ্ঘন করার মতো উদ্বেগে রুপ নেয়। পরবর্তীতে কিছু চাকরি কেড়ে নেয়ার ক্ষেত্রে 'জেনারেটরি এআই' সরঞ্জামগুলোর সর্বসাম্প্রতিক ক্ষমতা নিয়ে বড় ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইউরোপীয় আইনপ্রণেতাদের মতো কংগ্রেস নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা প্রণয়ন করবে এমন কোনো তাৎক্ষণিক লক্ষণ না থাকলেও সামাজিক উদ্বেগের কারণে চলতি মাসের শুরুতে অল্টম্যান ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রধান নির্বাহীরা হোয়াইট হাউজে আসেন। যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সিগুলো বিদ্যমান নাগরিক অধিকার ও ভোক্তা সুরক্ষা আইন ভঙ্গকারী ক্ষতিকর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
নীতিনির্ধারক এবং জনসাধারণের সাথে প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বলার জন্য অল্টম্যান এই মাসে ছয়টি মহাদেশের জাতীয় রাজধানী এবং প্রধান শহরগুলোতে বিশ্বব্যাপী সফর শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। সিনেটে তর সাক্ষ্য প্রদানের প্রাক্কালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন আইন-প্রণেতার সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হন। আইন প্রণেতাদের অনেকেই বার্তা সংস্থা সিএনবিসিকে বলেন তারা তার মন্তব্যে মুগ্ধ হয়েছেন।
প্যানেলের রিপাবলিকান সিনেটর মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের জোশ হাউলি বলেন, 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমনভাবে রূপান্তরিত হবে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। আমেরিকানদের নির্বাচন, চাকরি এবং নিরাপত্তার উপর তা প্রভাব ফেলবে। কংগ্রেসের কী করা উচিত তা বোঝার জন্য এই শুনানি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ।'
এবিএন/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ